জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির মোট ১৬ টি পদের সুপারিনটেনডেন্ট ও একজন জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এর পদ শুন্য রয়েছে বাকি ১৪টি পদের ৫জন শিক্ষকসহ ৮জন অনত্রে প্রেষনে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ইনস্ট্রাক্টর সুপারিনটেনডেন্ট এর দায়িত্বে থাকলেও তিনি অসুস্থ থাকায় প্রায় একমাস ধরে স্কুলে আসেন না। ২জন হেলপার, একজন হিসাব সহকারী, একজন মেকানিক্স ও একজন নৈশ প্রহরী কর্মরত থাকলেও তারা সকালে এসে ২/১ ঘন্টা স্কুলে থেকে বাড়ি চলে যান। শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি থাকলেও তাদের ক্লাস হয় না। আর ক্লাস হয়না বলেই ছেলে মেয়েরাও স্কুলে এসে ফিরে যায়। যারা ভর্তি হতে আসে তাদেরকে ভর্তিতে নানা ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১৬ সালের ৩০ আগষ্ট বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত এক পত্রে গোপালপুরে অবস্থিত টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সকল কার্যাদি সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়। এলাকাবাসির দাবির মুখে সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মির্জা আজম এর নির্দেশে সেবছরই টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটটি লালপুর থেকে নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট পরিদর্শনকালে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের অপতৎপরতা চলছিল। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মির্জা আজম এর নির্দেশে তা ধুলিস্যাৎ হলেও বস্ত্রপরিদপ্তরের পরিচালক তা মেনেনিতে পারেননি। তাই তিনি শিক্ষকদের অন্যত্র প্রেষণে বদলী করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতে চাচ্ছেন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হতে চলেছে।
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ এর স্কুলটি পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা নির্ব াহী অফিসার নজরুল ইসলাম, থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী, সদস্য ফিরোজ আল হক ভুইয়া সহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।