খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক অনেক কষ্ট করে ফসল ফলায়। বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব, কৃষিকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কৃষকের উন্নয়ন সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকের ফসলের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গেলে এক শ্রেণি আছে যারা এসি রুমে বসে দাম বাড়ল বলে জিকির তোলে। অথচ ধানের দাম ২ টাকা বাড়লে চালের দাম স্বাভাবিক নিয়মেই ৩ টাকা বাড়ে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। এটা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লোড শেডিং দ্রুতই সমাধান হবে। তীব্র গরমে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ঘরে ঘরে এসি ব্যবহার হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। অযথা লাইট, ফ্যান যেন না চলে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমেই স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ রোপিত হয়। ৬ দফা ঘোষণা করে বার বার তিনি কারা বরণ করেছেন। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী বলেছে। তবুও তিনি ৬ দফা থেকে সরে আসেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিবে। ধোকাবাজিতে জনগণ পা দিবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হবে উন্নয়নের সাথে অনুন্নয়নের। এসময় তিনি উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে, ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভালো রাখতে, শেখ হাসিনার সরকারে আস্থা রাখার আহবান জানান।
তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, একটি দল দেশের ক্ষমতায় এসেছিলো পেছনের দরজা দিয়ে। হ্যাঁ না ভোট দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। জেনারেল এরশাদ সেই পথ অনুসরণ করেছিলেন। তত্তাবধায়ক সরকার এ দেশে হবে না, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচনে তিনি বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে তিনি ক্ষমতায় যাবেন। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া এদেশের জনগণ মেনে নিবেনা।
এ সময় নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ আহমেদ, উপজলো নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোর্শেদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।