সকল প্রার্থীকে পিছনে ফেলে নিয়ামতপুরে মাঠ জরিপে এগিয়ে মোটরসাইকেল প্রার্থী ফরিদ 

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। গত ২ মে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সকল প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
 উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে জনপ্রিয়তায় আলোচনা ও জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ।
তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছাত্র লীগ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালের ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মাঠে আছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ(মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ(কাপ-পিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব(হেলিকপ্টার), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন (আনারস) ও সোহরাব হোসেন জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে।
এদিকে সাধারণ নেতাকর্মী ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে আলোচনা, প্রচারণায় এবং জনপ্রিয়তায় অনেকটাই এগিয়ে। এর অন্যতম কারন হিসেবে তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় তিনি রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেসময় তিনি মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। নিয়ামতপুর উপজেলা করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। সেসময় উপজেলা প্রশাসন ও তাঁর (ফরিদ আহম্মেদ) মিলে সমন্বয় করে সুষ্ঠু পদক্ষেপের কারনেই করোনার সচেতনতা তৈরি সম্ভব হয়েছিল।
নেতাকর্মীরা আরও বলেন, তাঁর চিন্তা ও চেতনা সমাজের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার। তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নের চিন্তা করেন ও সেই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে একজন নিঃস্বার্থ এবং ত্যাগী নেতা হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে আসছেন। তাকে নিয়ে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখেন উন্নয়নের সারথি হিসেবে।
উপজেলার সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন ফরিদ আহম্মেদ আবারও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্রের সকল বরাদ্দের সুষম বণ্টন করবেন এবং এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।
সাধারণ মানুষের স্বপ্ন নিয়ামতপুর উপজেলা একটি বেকারত্ব, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত স্মার্ট উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কারণ তাঁর স্বপ্ন উপজেলাকে স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
নির্বাচনের মাঠে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত সাদামাটা ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিত মুখ ফরিদ আহম্মেদ। মানুষের জন্য, মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করা এই মানুষটি এলাকায় মানবতার ফেরীওয়ালা হিসেবে সর্বমহলে জনপ্রিয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ক্রীড়া সার্বিক কল্যানে তার এমন গুনাবলীর কথা এলাকাবাসী এবং বিশিষ্টজনদের মুখে মুখে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭শ ৭৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫শ ৯৮ এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ১শ ৭৭।
Comments (০)
Add Comment