পরে তিনি তাকে কেন সার্চ করা হবে জানতে চেয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তাকে পাশের টি-স্টলে বসে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওই পুলিশ সদস্যরা।
এক পর্যায়ে এক পুলিশ কনস্টেবল এগিয়ে আসেন তার দিকে। ফলে আর কথা না বাড়িয়ে টি-স্টলে বসে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্র দেখান বাবর মাহমুদ। এ সময় তার কাছেও কেন তাকে সার্চ করা হবে জানতে চান। কিন্তু তিনি পূর্বের পুলিশ সদস্যের ন্যায় একই কথা বলে পকেট চেক করতে বলেন।
এরপর ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজের পকেট থেকে সবকিছু বের করে দেখান। সার্চ শেষে কিছু না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সময় বাবর হয়রানি করা পুলিশ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলীর নেমপ্লেটের দিকে তাকালে, তিনি নিজের নেমপ্লেটে হাত দিয়ে বলতে থাকেন, দেখেন! দেখেন! নামটা ভালো করে দেখে যান।
এ বিষয়ে সাংবাদিক বাবর মাহমুদ বিবার্তাকে বলেন, আমি আমার পরিচয় দিলাম, পরিচয়পত্র দেখালাম। তবুও আমাকে হয়রানি করা হলো। পুলিশের কাছ থেকে এই রকম অশোভন আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়।
অভিযোগের বিষয়ে অবগত করে বক্তব্য জানতে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদকে বিবার্তা২৪ডটনেটের পক্ষ থেকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি তার মোবাইলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।