সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, আসামি আলামিন ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। এ সময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিন আক্তারের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আলামিনকে তালাক দেওয়ায়। এতে আলামিন নাসরিন আক্তারের ওপর রুষ্ট হন। পরে আলামিন পুনরায় নাসরিন আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেন। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এমতাবস্থায় আলামিন নাসরিন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আলামিন নাসরিন আক্তারকে মোবাইল ফোনে ডাকে। নাসরিন, তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও ভাগনি জাইমাকে (৫) সঙ্গে নিয়ে আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার দোকানে আসে। দুপুরে আলামিন, দোকান কর্মচারী নয়ন সরকার ও ড্রাইভার রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে নিয়ে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তিনজনের মরদেহ বস্তায় ভরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়।
পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলা চলাকালে ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালতের বিচারক আসামি আলামিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামি নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।