সিলেটের বন্যায় প্রধানমন্ত্রী রাতে ঘুমাতে পারেননি : নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। তিনি সারা রাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ দিয়েছেন- এক মুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আদাবর থানা এবং এর অন্তর্গত ৩০ ও ১০০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে নির্লজ্জ দল মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির নেতারা কথা বেশি বলেন, কিন্তু কাজ করেন না। আর আওয়ামী লীগ কাজ বেশি করে, কথা কম বলে। এটাই আমাদের আদর্শ।

তিনি বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা রাত ঘুমাতে পারেননি। তিনি সারা রাত জেগে থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল সংস্থাকে নির্দেশ করেছেন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের বেলায় নির্দেশ দিয়েছেন- একমুঠো খাবার নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াও। এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

‘আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটা বাড়ি একটা ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে। সেখানেই বানবাসীদের জন্য তারা রান্না করছে। নৌকা দিয়ে সেই খাবার বানভাসি মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা এসি রুমে বসে সরকারের এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। ঠিক একইভাবে মহামারি করোনাকালেও তাঁরা মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছিল। আসলে বিএনপির নেতাদের লজ্জা নেই।’

সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সরকার করে যেতে পারবে না, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। আরও অনেক অপপ্রচার চালিয়েছে।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ওই বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যদি তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।  পদ্মা সেতু যাতে উদ্বোধন না হয় সেজন্য একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শামীমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাদেক খান প্রমুখ।