সোমবার (২ ডিসেম্বর) নির্ধারিত মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে
এ হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন মামলার শুনানি করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘আজ একটি মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় তিন নম্বর সিরিয়ালে থাকার কথা। কিন্তু অদৃশ্যভাবে তা চলে গেছে ৮৯ নম্বর সিরিয়ালে।’
কেন ও কীভাবে এমনটি হলো তা আপিল বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলার কার্যতালিকা উপর-নিচ করে অনেকেই কোটিপতি হয়ে গেছেন।’
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এফিডেভিট শাখা কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসালাম। এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। কিন্তু সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না। এটা খুবই হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না। বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।’
এসময় প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিকভাবে এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্টার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করে।
মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আপিল বিভাগ। এসময় ডেপুটি রেজিস্টারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেষ দেন প্রধান বিচারপতি।