উপহার সামগ্রী স্বা-দ্বরে গ্রহন করে সাইদুজ্জামান এর পিতা সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম জানান- জেলা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের প্রতি যে সমবেদনা জানিয়েছেন তাতে তারা সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। গতকালও তার ছেলের সংগে কথা হয়েছে। সেখানে দস্যুরা তাদের সাথে বেশ নমনীয় ব্যবহার করছে। কোম্পানি থেকে জিম্মি জাহাজে ২০টা দুম্বা দেওয়া হয়েছে। ১০টা জিম্মি নাবিকদের আহারের জন্য দেওয়া হয়েছে আর বাকি ১০টা দস্যুরা নিয়েছেন এমনটাই বলেছেন ছেলে সাইদুজ্জামান। সরকারের পদক্ষেপ গ্রহনে তারা বেশ খুশি।
তবে খুব তারাতারি সন্তান ঘরে ফিরে আসলে পরিবারের বইবে খুশির ঈদ এমনটাই বলছেন তিনি। সাইদুজ্জামান এর স্ত্রী মেহরিমা সাফরিন বলেন- সুস্থ্য সবলভাবে সকল জিম্মি যেন ঘরে ফিরে আসে এমনটাই প্রত্যাশা সকল জিম্মি পরিবারের। তারাও চান তাদের স্বজন ভালোভাবে ফিরে আসুক। সরকার ও কোম্পানির পদক্ষেপে যেন কোন গরিমর্সি না থাকে এমনটাই চাওয়া তাদের। তবে জিম্মি উদ্ধারে সরকারের পদক্ষেপ প্রসংসনীয় । তাই তারা আসা করছেন খুব দ্রুত তাদের স্বজন ঘরে ফিরে আসবে। এদিকে জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানিয়েছেন- ঘটনা হওয়ার পর সাইদুজ্জামান এর পরিবার জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করেছিলেন ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিনি দরখাস্ত করেছিলেন। সরকার সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকবে। সকলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে জিম্মি নাবিকরা যেন অতি তারাতারি ফিরে আশে পরিবারের মাঝে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সকল প্রকার কাজ করে যাচ্ছে। ঈদে আনন্দের কিন্তু জিম্মি পরিবারে বইছে উৎকন্ঠা আর উদ্যেগ। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও প্রশাসন সব সময় পাশে আছে থাকবে এবং সার্বিক সহযোগিতা করে যাবে এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।