স্থানিয় গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ভ্যানচালক। গৃহবধূ বাড়িতে ছাগল লালন-পালন করতেন। প্রায় মাস দুয়েক আগে চার ব্যক্তি ঐ বাড়িতে এসে ছাগল কিনে নিয়ে যান। তাঁরা গৃহবধূকে একটি মুঠোফোনের নম্বর দেন। ওই মুঠোফোনের নম্বরটি বাড়ির মাটির দেয়ালে লিখে রাখেন তিনি। পরে কোন একদিন গৃহবধূর মুঠোফোন থেকে ভুলক্রমে ওই নম্বরে কল করেন। এরপর গৃহবধূকে মুঠোফোনে উত্ত্যক্ত করছিলেন তাঁরা। শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূ বাড়িতে একা ছিলেন।
এ সময় দুই ব্যক্তি ছাগল কিনতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসেন এবং বাড়িতে ঢুকে তাঁরা গৃহবধূকে একা পেয়ে ঘরের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করেন। এ সময় এক শিশু এ দৃশ্য দেখে বাইরে এসে জানালে ঘটনাটি পুলিশি সেবা পাওয়া নম্বর ৯৯৯ এ কল করে জানান গ্রামের কেউ। এরপর সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। তবে পুলিশ পৌছার পূর্বেই ধর্ষণ চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যান।
গৃহবধূর স্বামী সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা ছিলেন। দুই ব্যক্তি ছাগল কেনার নামে বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন।
উপজেলার কোলা ইউনিয়নের সদস্য ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটি জানার পর গ্রামের এক ব্যক্তি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে বদলগাছি থানার পুলিশ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
বদলগাছি থানার ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, ছাগল ক্রেতা সেজে বাড়িতে গিয়ে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং অপরাধীদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।