তিনি অবিলম্বে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে রায় কার্যকরের দাবী জানান। সমাবেশে অরিনের মা মিনা খাতুন বলেন, আসামিরা আমাদের একই পরিবারের দুই ছেলে হীরা ও অরিনকে হত্যা করেছে। আসামিরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে না যায় সেজন্য এলাবাবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হীরার চাচা রবিউল ইসলাম, নবনির্বাচিত পাবনা পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান বাদল, আল-মাসুদ রিজভী ম্যাক্সিম, শামীম হোসেন, তায়জুল ইসলাম, মো. সোহেল, ছাত্র নেতা চঞ্চল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আপেল, মো. রফিক ও সোনা প্রমুখ এলাকাবাসী। বক্তাগণ বলেন একই পরিবারের দুই ছেলেকে হত্যা করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আদালতে হীরা হত্যার বিচার রায়ের একদিন আগেও পলাতক আসামিদের প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা গেছে। এর ফলে মামলার বাদী ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে হুমকী দেখা দিয়েছে। বক্তাগণ পলাতক আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আদালতের দেয়া রায় কার্যকর করার দাবী জানান। মানববন্ধন ও সমাবেশে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৮ মে বিকেল ৩টার সময় সন্ত্রাসীরা পৈলানপুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আজাহার আলীর ছেলে রায়হান চৌধুরী হীরাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আজাহার আলী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখীল করেন। দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের বিচারক দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পৈলানপুর মহল্লার মিজানুর রহমান মিজান ও তার ছেলে তুষার রহমান। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন গোবিন্দা মহল্লার আব্দুর রশিদের ছেলে মাসুম হোসেন, কাচারী পাড়ার আজাহার আলীর ছেলে আরশেদ আলী, পৈলানপুরের মিজানুর রহমানের ছেলে মিশু হোসেন। বাকী আসামিরা খালাস পান। রায়য়ের সময় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকী আসামিরা পলাতক রয়েছে।