অনুমতি না নিয়ে কর্মসূচি দিলে সরকার চুপচাপ বসে থাকবে না : ওবায়দুল কাদের

0 ২৬০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি অবৈধ। অনুমতি না নিয়ে রাজপথে ফ্রি স্টাইলে কর্মসূচি দিলে সরকার চুপচাপ বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অনুমতি ছাড়া ফ্রিস্টাইল কর্মসূচি দেওয়ার সুযোগ নেই। অনুমতি নেবে না, আর রাস্তায় ফ্রিস্টাইল কর্মসূচি করবে আর আমরা সেটা মেনে নিব- তা মনে করার কোনো কারণ নেই।’(বাসস)
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচির পক্ষে দেশের জনগণের কোনো সমর্থন নেই। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় নিমজ্জিত। তারা এখন পথহারা পথিক হয়ে দিগবিদিক হাঁটছে।
‘বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি’ জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংসদ ফাংশনাল না হলে জি এম কাদের কেন আসলেন?’
তিনি বলেন, ‘কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি।’
তিনি বলেন, সামনে আরো সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নয়। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর মানে কি দাঁড়ায়?’ আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি, সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু কথায় নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাতারাতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে। যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেবে আওয়ামী লীগ।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.