ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সহকারী রেজিষ্ট্রার পিন্টু লাল দত্ত এখন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঝিনাইদহ সংবাদদাতা। প্রায় ৬ বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন তরে যাচ্ছেন। ২০১০ সালে জেলার সিনিয়র ও পেশাদার সাংবাদিক আসিফ ইকবাল কাজলকে ল্যাং মেরে দলীয় কায়দায় তিনি ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
পিন্টু লাল দত্ত এক সঙ্গে বিটিভি ও ইসলামী বিশ্ব বিদল্যালয় থেকে সরকারী ভাবে বেতন ভাতা ও সুবিধা নিচ্ছেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে একজন ইবির কর্মকর্তা সাংবাদিকতার তকমা গয়ে লাগাতে পারেন কি না ? ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার বলছেন বিষয়টি চাকরিবিধি লঙ্ঘন।
এক সাথে সরকারের দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ভাতা তোলায় বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে সরকারে একাধিক বিভাগ। তাদের ভাষ্য এক সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঝিনাইদহ সংবাদদাতা হিসেবে সরকারের দুইটি গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা আইন পরিপন্থি। অভিযোগ উঠেছে ইবির সহকারী রেজিষ্ট্রার হিসেবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অফিস করতে হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা হলে তাকে সর্বক্ষন নিউজের পেছনে ছুটতে হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনের উন্নয়ন মূলক খবর প্রচার থাকে। এ ক্ষেত্রে তাকে সরকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় এমপিদের সাথে থাকতে হয়। কিন্ত বিটিভি প্রতিনিধি পিন্টু লাল দত্ত সরকারী অনুষ্ঠানে থাকেন না। ভাড়াটে লোক দিয়ে চলে তার সাংবাদিকতা।
আবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না করলে সরকারী কর্মকর্তাদের হুমকী ধমকী দেন বলে কথিত আছে। বিষয়টি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আব্দুল লতিফ জানান, সহকারী রেজিষ্ট্রার পিন্টু লাল দত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঝিনাইদহ সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ আছে কিনা তা আমার জানা নেই। সরকারী নিয়ম অনুয়ায়ী একই সাথে সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে পারেন না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ টেলিভিশন সরকারের দুইটি প্রতিষ্ঠান।
যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অফিসে খাকতে হয়। আবার বাংলাদেশ টেলিভিশনে সংবাদদাতা হিসেবে ২৪ ঘন্টা কাজ করতে হয়। সেহেতু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করে সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে না।
তিনি আরো জানান, কোনও ইবি কর্মকর্তার সাংবাদিক হবার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেরিভিশনের উপ-মহাপরিচালক (নিউজ) নাসির উদ্দীন জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহকারী রেজিষ্ট্রার হিসেবে কর্মরত থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়োগ পেতে পারে না। এটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের চাকরিবিধি বহির্ভূত বলে তিনি জানান। তিনি জানান, পিন্টু লাল দত্তর বিরুদ্ধে তদন্ত করে অচিরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।