এক দিনে ৪ কিংবদন্তিকে টপকে অনন্য উচ্চতায় কোহলি!
স্পোর্টস ডেস্ক: আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে মেঘের উপর দিয়ে হাঁটছে ভারত। ক্যারিবিয়ান সফরে ২-০ সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ও শুধু সময়ের অপেক্ষা বিরাহবাহিনী। প্রথম টেস্ট ২০৩ রানে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টেও ক্যাপ্টেন কোহলির ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে টিম ইন্ডিয়া।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তমবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছে ছাপিয়ে গিয়েছেন শচিন টেন্ডুলকার, বীরেন্দ্র সেওয়াগদের। বিরাটের আগে ভারতীয়দের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক ছ’টি ডাবল সেঞ্চুরি ছিল শচিন ও সেহওয়াগের। কিন্তু এদিন দু’জনকে ছাপিয়ে প্রথমবার ভারতীয় হিসেবে সপ্তম দ্বিশতরানের মালিক হন কোহলি।
টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর (২৫৪) করার পাশাপাশি এদিন টেস্ট ক্রিকেটে সাত হাজার রানের মাইলস্টোন পৌঁছন কোহলি। একই সঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের সর্বাধিক সেঞ্চুরিকে ছুঁয়ে ফেলেন বিরাট। সেই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে ব্যাট হাতে ভাঙেন স্যর ডন ব্র্যাডম্যানের অনন্য নজির। অধিনায়ক হিসেবে নবম ১৫০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলে অজি কিংবদন্তিকে টপকে যান বিরাট।
নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন,‘ ক্যারিয়ারের এই সাফল্যে আমি উচ্ছ্বসিত। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি করে আমি দারুণ খুশি। ক্যাপ্টেন হওয়ার পর টিমের প্রতি দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। যা আমাকে আরও ভালো খেলতে সাহায্য করে। মানসিকভাবেও আমি এখন বড় ইনিংস খেলার জন্য প্রস্তুত।’
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষেই চালকের আসনে ভারত। ভারতের ৬০১ রানতাড়া করতে নেমে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর্থাৎ এখনও ৫৬৫ রানে এগিয়ে টিম কোহলি। অর্থাৎ ফলো-অন বাঁচাতে এখনও ৩৬৬ রান করতে হবে ফ্যাফ ডু’প্লেসিদের। বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম টেস্টে ফলো-অন বাঁচালেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে কোহলি অ্যান্ড কোং। এই টেস্ট জিতলেই ঘরের মাঠে টানা ১০টি সিরিজ জিতে অস্ট্রেলিয়ার কৃতিত্বে ভাগ বসাবে টিম ইন্ডিয়া। ২০১৪ শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে হঠাৎ ধোনির টেস্ট অবসরে নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে বিরাটের।