কুড়িগ্রামের রৌমারৗ ও রাজিবপুরের বন্যায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত দিশেহারা কৃষকরা

২৬৭

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী ও রাজিবপুরে এবার বন্যার ছোবলে দুই উপজেলা কৃষকের সর্বনাশ পানি যতই কমছে ততই ফসল পচার দূর্গন্ধ আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে এলাকার বাতাস। এমন মর্মান্তিক ভয়াবহ সর্বনাশা বন্যার পানিতে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাটি ঘটছে কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী ও রাজিবপুরসহ দুটি উপজেলায়। কৃষকের ক্ষতি সরেজমিনে কৃষকদের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কি পরিমাণ কৃষকদের ফসল পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের ফসল ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্যগুলো ক্যামারায় বন্ধি করা হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ ধান, পাট, তিল,বাদাম,কাউন,চিনা, সবজিসহ কয়েকটি আইটেম এর ফসল পানিতে নিম্মজিত হয়েছিল। খেটে খাওয়া কৃষির উপর নির্ভশীল কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সর্বনাশা বন্যার পানি দীর্ঘমেয়াদী ফসলের মাঠে অবস্থান করায় ফসল টিকে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । যার ফলে কৃষকের মাঠে থাকা ফসল পচে বিনষ্ট হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

এদিকে পানি কিন্ত যেভাবে ধেয়ে এসেছিল সেভাবে কিন্ত ধেয়ে যাচ্ছে না বন্যার পানি। অপরদিকে বন্যার পানি যতটা ধেয়ে এসেছিল ততটা কিন্ত ধেয়ে না যাওয়ার ফলে মাঠে থাকা কৃষকের ফসল গুলো পচে দূর্গন্ধ বাতাসে উড়ছে। কৃষকদের কষ্টে ফোলানো বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করেছিলেন বুক ভোরা আশা নিয়ে।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আকর্ষিক বন্যার ছোবলে আম ছালাসহ সব কিছু হাড়িয়ে সর্বশান্ত কৃষকদের হাহাকারে এঅঞ্চলের বাতাস যেন দিনে দিনে ভারি হয়ে উঠছে। ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ নাকি খবর নিচ্ছেন না এমন অভিযোগ দুই উপজেলার কৃষকদের ।

অপরদিকে কৃষকরা বলছেন আমাদের বড় সমস্যা হলো গুরু মহিষ, ছাগল ভ্যারাসহ সকল গবাদি পশুর খাদ্যের যোগান দিতে পারছিনা। কারণ দুই দফা বন্যার পাশাপাশি ঘন ঘন তীব্র বর্ষণের কারণে ধানের খর মেরামত করার সুযোগ ছিলনা ফলে গু খাদ্যের ব্যাপকভাবে সংকট দেখা দিয়েছেন।

তারা আরও বলছেন ভারতের পানির সঙ্গে ভেসে আসা কচুরিপানা কেটে কেটে এতদিন গুরুর খাদ্যের যোগদান দিয়েছি। এখন আর সেও কচুরিপানাও আর সংগ্রহ করা যাচ্ছে না ফলে গুরুর খাদ্যের ব্যাপক সংকটাপন্ন অবস্থায হতাশায় রয়েছে কৃষকরা। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয় কথা হয় রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন এর সঙ্গে।

কৃষি কর্মকর্তার তথ্যমতে জানা গেছে চলতি মৌসুমে রৌমারীতে সর্বসাকুল্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদ হয়েছিল। পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই সম্প্রতিককালের আকর্ষিক বন্যায় নিম্মজিত হয়ে কৃষকের ফসল, বন্যার পানিতে তলিয়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হযেছে।

Comments are closed.