ক্রিকেটের যে ৭ রেকর্ড ভাঙা অসম্ভব!
স্পোর্টস ডেস্ক: রেকর্ড গড়াই হয় রেকর্ড ভাঙ্গার জন্য- এমন একটি প্রবাদ বেশ প্রচলিত ক্রিকেটে। তবে সব রেকর্ড কি চাইলে ভাঙা যায়? না। কিছু কিছু এমন রেকর্ড রয়েছে যা ভাঙা প্রায় অসম্ভব।
দেখে নেয়া যাক ক্রিকেটের এমন ৭ টি রেকর্ড যা ভাঙা প্রায় দুঃসাধ্য।
ব্র্যাডম্যানের গড়
ডন ব্রাডম্যানের ক্যারিয়ার গড় ৯৯.৯৪! কেউ কখনও স্বপ্নেও ভাবে না ভাঙার কথা। গোড়ার দিকে আট, দশ, বিশটা টেস্ট খেলে হাতে গোনা দু-একজনের থাকে বটে তবে বেলা গড়ালে ডনের এই এভারেস্টসম ব্যাটিং গড় অক্ষতই থেকে যায়।
মুরলির উইকেট
টেস্টে ৮০০টা, ওয়ানডেতে ৫৩৪টা উইকেট আছে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরলিধরনের। মোট ১৩৩৪ টি উইকেট। ব্যস, সংখ্যাটাই যথেষ্ট। কতটা পথ পেরোলে মুরলির রেকর্ড ভাঙা যাবে সেটা মাপার যন্ত্রই এখনও বের হয়নি।
সবথেকে বেশি বয়সে টেস্ট খেলা
৫২ বছর বয়েসে উইলফ্রেড রোডসের টেস্ট খেলা- ক্রিকেট দিন দিন ফিটনেস ভিত্তিক খেলা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ৩২, ৩৪ বছরে এসেই অবসরের ঘণ্টা শোনা যায়। আর ইনি, উইলফ্রেড রোডস ৫২ বছর বয়সে টেস্ট খেলেন। ৩০ বছর ধরে তিনি ক্রিকেট খেলেন।
সর্বোচ্চ শতক
স্যার জ্যাক হবসের ১৯৯টি শতরান- হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন। ১৯৯টি শতরান। মানে সেঞ্চুরির ডবল সেঞ্চুরি থেকে একটা কম। এই ১৯৯টি-র মধ্যে ১৮টা টেস্ট শতক আছে স্যার জন বেরি জ্যাক হবসের।
সর্বাধিক ক্যাচ
১৬৪টা টেস্টে দ্রাবিড় ধরেছেন ২১০টা ক্যাচ। টেস্টের নিরাপদতম হাতের গড় ০.৬৯৭। কোনও দিন দেশের হয়ে টেস্টে উইকেটকিপিং না করেও এই রেকর্ড রাখা দ্রাবিড়কে ভাঙা যাবে না এটা বিশ্বাস করতে ভাল লাগে।
ক্রিকেটার হিসেবে পন্টিংয়ের ১০৮ টি টেস্ট জয়
দেশের হয়ে ১০০টা টেস্ট খেলাই যখন যে কোনও ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হয়, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং অধিনায়ক হিসেবে ১০৮টা টেস্ট জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মে খেলা পন্টিংয়ের এই রেকর্ড কেউ কোনও দিন ভাঙতে পারলে সেটাই হবে আশ্চর্যের।
জিম লেকারের এক টেস্টে ১৯ টি উইকেট
একটা টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০টা উইকেট নেওয়া যায়। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টার টেস্টে অসিদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের লেকার নিয়েছিলেন ১৯টা উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯টা, দ্বিতীয় ইনিংসে দশে দশ। দুটো মিলিয়ে ১৯। আজ পযর্ন্ত কেউ পারেননি, হয়তো কেউ পারবেনও না।