গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি ‘এক বাক্যে সম্ভব’: আলাল
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে যে টানাপোড়েন যে সংকট তা এক বাক্যে সমাধান করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি- এটা এক বাক্যে সমাধান সম্ভব। এখন প্রশ্ন হলো- আমরা সেদিকে যাবো কি-না, আমাদের ঈমানদারিত্বের দায়িত্ব পালন করব কি-না। নিজেদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো কি-না। যদি নিজেদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে না পারি তাহলে এ দেশের পরিত্রাণ নাই।’
রবিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে “রক্তাক্ত স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীর মুক্তি” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)ব্রেকিংনিউজ
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, দেশের এই দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই সামনে মাহে রমজান চলে আসছে। ইতোমধ্যেই চাল, ডাল, চিনি সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে এগুলোর দাম লাগাতার বাড়তে থাকবে, এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন।’
এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে একটার পর একটা গুজব শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘মশা নিধন কার্যক্রমের জন্য বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মশা নিধনের কাজ শুরু করা হবে। এমন একটা দেশে বাস করি আমরা, যে দেশে মশা নিধন করতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা লাগে। পাপিয়া যখন গ্রেফতার হলো তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই পাপিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে’। আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসা থেকে ২৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটাও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। পাপিয়ার রঙ্গশালায় কে কে যেতেন সব লিস্ট নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে। তাহলে সেইসব লোকদের গ্রেফতারের নির্দেশনা এখনও কেন আসেনি?’
আলাল বলেন, ‘গতকাল আওয়ামী লীগের অফিসে ওবায়দুল কাদের ও বাহাউদ্দিন নাসিমের হাতাহাতিই বাকি ছিল, আর সবকিছুই হয়েছে। বাহাউদ্দিন নাসিম কাদেরকে বলেছেন, ‘অফিস আপনার একার নয়, নেত্রীর অফিস। এখানে বসার অধিকার সবার আছে।’ পরে ওবায়দুল কাদের বাহাউদ্দিন নাসিমকে বলেছেন, ‘এ কথা নেত্রীকে বলে দেবো।’ তখন বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, ‘নেত্রী আপনার একার নয়। আমাদের সবার’।’
আলাল বলেন, ‘এখনতো তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এমন দিন আসবে হাতাহাতিও হবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। কারণ যুদ্ধ যখন একপাক্ষিক হয় তখন অস্ত্রবাজরা দুর্নীতিবাজরা তাদের জায়গা দখল করার জন্য নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম অনেক উদাহরণ আছে।’
জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।