গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারনা। চলছে প্রার্থীদের দৌড়-ঝাপ। ভোটারদের যেকোন মূল্যে সন্তুষ্ট করতে প্রতিযোগীতা শুরু করেছেন তারা। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে জেলার পাঁচ উপজেলার ১৫ টি ওয়ার্ডের গোটা এলাকা। ভোটারা দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে িভোট দিবেন বলে জানালেন। আর আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলার উন্নয়নের ধারারাহিকতা বজার রাখার কখা বললেন। কিন্তু সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা জানালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, অাগামী ২৮ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা, চারটি পৌরসভা ও আটষট্টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, পুরুষ সদস্যে পদে ৩৭ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ নির্বাচনে জেলার ৯৫০ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাদিকার প্রয়োগ করবেন। ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসায় দিন রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। কে কার আগে গিয়ে ভোটারের মন জয় করে নিজেদের ঝুলিতে আনবেন ভোট। বিভিন্ন স্থানে চলছে উঠান বৈঠক ও সভা। এমনকি প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা।
চেয়ারমান প্রার্থীদের থেকেও কোন অংশে কম নেই পুরুষ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরা। তারাও ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ী-বাড়ী। মন জয় করতে দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
ভোটার গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল আমিন, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিল্পব, কাউন্সিলর সাদিয়া আক্তার পাপিয়া, খাদিজা বেগম জানান, যারা এলাকার উন্নয়ন করবে, নারীদের অধিকার আদায়ে সব সময় পাশে থাকবে এমন যোগ্য প্রার্থীকেই আমরা ভোট দিব।
পুরুষ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান সরদার ও মহিলা সদস্য প্রার্থী অনিমা রানী সরকার, হাসিয়া বেগম হাসি বলেন, এলাকার উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাব। এলকায় মাদকের বিরুদ্ধে এবং নারীদের অধিকার ও বাল্য বিবাহ বন্ধে সব সময় ভূমিকা রাখার চেষ্ঠা করব।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা: মোল্যা ওবায়দুল্লাহ বাকী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য জেলার উন্নয়নে কাজ করব। এছাড়া তিনি সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে সংশং প্রকশি করে সুষ্ঠ নির্বাচন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে যথাযথা ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চৌধুরী ইমদাদুল হক বলেন, আমি জেলা পরষিদের প্রশাসক ছিলাম। আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। কিছু প্রকল্পও চলমান রয়েছে। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে চলামান প্রকল্প শেষ করাসহ জেলার রাস্ত ঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করব।
গোপালগঞ্জ। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ওহিদুজ্জামান মুন্সী জানান, দেশে প্রথমবারের মতো হাতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।