চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনার চাটমোহরে মিয়ানমারের এক নাগরিককে উদ্ধার বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী এলাকা থেকে উলঙ্গ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চাটমোহর থানায় জানানো হয়। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধিন আছেন। উদ্ধারকৃত ওই ব্যক্তি শুক্রবার সকালে তার পরিচয়ে জানান তার নাম আব্দুল্লাহ (৫০),পিতার নাম শুকুর আলী। মিয়ানমারের আখিয়ান এলাকার শ্যামতলীতে তার বাড়ি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে সে জানায়,সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরনার্থী নন।
বাংলাদেশে আসার বিষয়ে আব্দুল্লাহ জানান,বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের রহসপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের সাথে থাইল্যান্ডে ফিশিং বোটে সে মাছ শিকার করতো। পরবর্তীতে রফিকুল তাকে ইউরোপের কোন দেশে চাকুরি দেবার কথা বলেন। তার সাথে যোগাযোগের সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এরপর রফিকুলের সাথে ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন। বৃহস্পতিবার রফিকুল বিদেশে যাবার বিষয়ে তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এরপর ঢাকা থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে বাসযোগে রওনা হন। আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে তাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈড় এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে আরেকটি লোকের সাথে দেখা করে তাকে আম খেতে দেওয়া হয়।
সেখান থেকে চাটমোহরের ছাইকোলা এলাকায় এনে একটি মসজিদে এশার নামাজ শেষে তাকে একটা কিছু শুকিয়ে রফিকুল ও আরেক ব্যক্তি চলে যায়। এরপর আর কিছু তার মনে নেই। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল্লাহকে উলঙ্গ অবস্থায় হেঁটে আসতে দেখে বোয়াইলমারী এলাকার আঃ রহমান,আনিসুরসহ কয়েকজন তাকে আটকায়।
এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় রাত ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সকাল ৮টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে। এরপর ইংরেজি সবকিছু বলতে থাকেন আব্দুল্লাহ। বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে রয়েছে সে। পুলিশের ধারনা সে রোহিঙ্গা। সে যা বলছে,তা সত্য কিনা তা যাচাই করা হবে।
চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা বলেন,আমরা তাকে আটক করে রেখেছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।