চারঘাটে তিন ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খননের মহাউৎসব

0 ১০৮
মো: পাভেল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর চারঘাটে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে তিন ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে চলছে পুকুর খননের মহাউৎসব। প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করায়,স্কেবেটার দিয়ে অনায়াসে ট্রাক্টর-টলি গাড়িতে করে মাটি বহন করে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা ও মহাসড়কগুলো নষ্ট করছেন।
রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা এলাকার সাধারণ লোকজন,স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা উক্ত রাস্তার ধুলা-বালির কারণে শ্বাস,প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে গেলে সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার কারণে দেশের সকল জেলার মতো রাজশাহীর মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল।
এই জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অথচ রাজশাহী জেলার চারঘাটে কিছু প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ছত্র-ছায়ায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করেই উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফসলি জমির প্রাণকেন্দ্র হলিদাগাছীর বিলে তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংসে মেতে চলেছেন শলুয়া ইউনিয়ন ছাএলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুুল হাসান শান্ত,মো. নাহিদ ইসলামের মত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
কৃষি জমি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার যেখানে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু সেখানে চারঘাট উপজেলার মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি রক্ষায় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন যা চলমান।
এছাড়াও আইন অনুযায়ী কৃষি জমি ধ্বংস করা অপরাধ। কিন্তু এই উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দৃশ্যমান না থাকায় প্রতিনিয়ত এভাবেই প্রভাব শালীদের হাতে খেটে খাওয়া কৃষি নির্ভরশীল মানুষের ফসলি শত শত বিঘা কৃষি জমি নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে অবৈধ পুকুর খননে। স্থানীয় প্রশাসন কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার আশ্বস্ত করলেও প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে দিনের পরিবর্তে অধিকাংশ রাতের অন্ধকারে চলমান খনন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যত কোন পদক্ষেপ নেই বলে সচেতন মহল জানান।
কোন ভাবেই মান্য হচ্ছে না জাতীয় ভুমি ব্যবহার নীতিমালা ও পরিবেশ আইন। ফলে এই এলাকার কৃষক ব্যাপক খাদ্য নিরাপত্তা সহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পড়েছে। তাই কৃষি জমি রক্ষায় ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
সেখানে প্রভাবশালী মৃত তফাজ্জল হোসেন তোফার ছেলে মো.হাসিবুল হাসান শান্ত,আকবর আলীর ছেলে মো. নাহিদ,সরকারি নিয়ম অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২২ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছে। জানাযায়,ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং নেতাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ থাকায় এলাকায় কোন লোকজন এই ভূমিদস্যদের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলেনা। এবিষয়ে মো.হাসিবুল হাসান শান্ত কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পুকুর খনন করছি না শুভ আর মানিক সরকারসহ অন্যরা পুকুর খনন করছে বলে ফোন কেটে দেয়।
এবিষয়ে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথে কথা বলেন। এরপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সোহবার হোসেন বলেন,আমি তিনবার অভিযান চালিয়েছি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।এস্কেভেটর এর ব্যাটারি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।কোথায় কোথায় পুকুর খনন হচ্ছে আমাকে তালিকা দেন আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.