চিলাহাটিতে আরও দুটি ট্রেন চালুর দাবি

0 ১,০৮৮

nilfamariআবু ছাইদ, ডোমার-নীলফামারী : চিলাহাটির জন্য এমন কিছু রেলের বাজেট আছে যা চিলাহাটিবাসী কল্পনাও করতে পারবে না।
ডোমার উপজেলার কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ইন্সফেকশন ওফ রেল (জিআইবিআর) কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান হায়দার। ডোমার উপজেলাস্থ রেলস্টেশনগুলো পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ। তারা চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে নেমে স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে উপস্থিত রেল কর্মকর্তাবৃন্দদের চিলাহাটি স্টেশনের অবকাঠামোগত সমস্যা নির্ধারণ করে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিআইবিআর কর্মকর্তা বলেন, অবকাঠামোগত যে সমস্যা আছে তা আমরা দেখব। আপনাদের আবেদন যেটা আছে তা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। চিলাহাটিতে আরও দুটি ট্রেন চালুর দাবি করলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। এদিকে জিএম খায়রুল আলম বলেন, আপনাদের দাবি অতিদ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।
জিআইবিআর কর্মকর্তার সাথে পরিদর্শনকালে উপস্থিত থাকেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম খায়রুল আলম, পাকশী বিভাগের রেলওয়ে ম্যানেজার আফজাল হোসেনসহ রেল বিভাগের সকল বিভাগীয় চিফ কর্মকর্তাগণ।

কোনটি আসল কোনাটি নকল বোঝা বড়ই কঠিন, ভেজালের দৌড়াত্ব বেড়েই চলছে
আবু ছাইদ, ডোমার-নীলফামারী : খাদ্য দ্রব্য সহ প্রতিটি জিনিসেই ভেজাল ভরে গেছে। জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা শহর এবং ছোট বড় হাট বাজারগুলোতে। ভেজালকারীদের খপ্পরে পড়ছে জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা মানুষ। না জেনে বুঝে এই ভেজাল খেয়ে পরে বাঁধতেছে শরীরে নানা রকম মরন ব্যধি। মানুষের শরীরের মাঝে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন নাম জানা-অজানা রোগ ব্যধির। জীবন যায় এমন খাটুনি করে উপার্জিত অর্থের বেশী ভাগই যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। এতে করে বোঝা যায় মানুষের জীবন হুমকীর সম্মুখীন। শহর, হাট-বাজার সহ প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও চলছে এই ভেজালের দৌরাত্ব। জানা যায়, প্রত্যেক খাদ্য দ্রব্য, ফলমুল, ঔষধ পত্র সহ যাবতীয় জিনিস পত্রে ভেজাল দেয়া হচ্ছে। মানুষ আর পারছে না স্বাভাবিক খাদ্য খেতে। অপরিপক্ক ফলমূলকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে। এমনকি ফলমুল বাদেও সবজি, মাছকে ফর্মালিন দিয়ে সতেজ রাখা হচ্ছে। এসব খাদ্য খেয়ে মানুষের বিভিন্ন নাম জানা-অজানা মরণ ব্যাধীর সৃষ্ঠি হচ্ছে। ব্যাবসায়ীদের ভাষা, মাছ হোক বা শবজি হোক সতেজ রাখতে পারলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় সাথে ভালো দামে বিক্রয় হয়। হোটেল, বেকারীগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে মরন ব্যাধি সৃষ্ঠির কৃত্রিম রং। জানা যায়, এসব রং ব্যবহারের কোন রকম অনুমতি সরকারের নেই। শহরের মানুষ একটু সচেতন হলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এসম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। এসব ভেজাল খাবার খেলে মানুষের শরীরে নানাবিধ রোগ হবে বলে বিজ্ঞ ডাক্তাদেরও মতমত পাওয়া যায়।

অপর দিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই গরু ছাগল জবাই করা হচ্ছে। জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলা শহর এবং ছোট বড় হাট বাজার গুলোতে পরীক্ষা নিরীক্ষা এমনকি মৌলভী ছাড়াই কাকডাকা ভোরে জবাই করা হচ্ছে গরু ছাগলগুলো। ক্রেতারা কোন ভাবেই জানতে পারছে না কোনটি আসল-নকল, কোনটি হালাল-হারাম। ভেজালকারীরা বছরে এক দুই বার ধরাও পরে জরিমানাও হয়। তার পরেও চলছে ভেজালের দৌরাত্ব, প্রশাসনও সচেতন কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না এসব কিছুই। কেন বন্ধ হচ্ছে না ভেজালকারীর দৌরাত্ব। তাই দৈনন্দিন ভেজাল বিরোধী কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন বলে জেলার ডোমার উপজেলা সহ প্রতিটি উপজেলার গন্যমান্য, সচেতন ও সাধারণ জনমনের মন্তব্য।

Leave A Reply

Your email address will not be published.