কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. শুভ হাসান (৭) নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শিক্ষক আব্দুল মোক্তাদিরকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শুভর বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ষোল গ্রামে। সে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষক আব্দুল মোক্তাদিরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাতাইল গ্রামে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই শুভর খালা ঝুমুর আহমেদ বাদি হয়ে শিক্ষক আব্দুল মোক্তাদিরকে আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে রবিবার সকালে এএসপি রামানন্দ সরকার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শুভর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান উকিল জানান, শুভ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। সে মাদ্রাসায় থেকেই পড়তো। শুক্রবার (১ নভেম্বর) শিক্ষক মোক্তাদির বেয়াদবির অভিযোগে শুভকে তার রুমে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে শুভ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শনিবার সকালে তার অব্স্থা গুরুতর হলে ছাত্ররা শুভর খালা ঝুমুরকে খবর দেয়। পরে তিনি এসে শুভকে বসুন্ধরা আদদ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় শুভর খালা ঝুমুর আহমেদ শনিবার মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই রাতেই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহায়তায় আব্দুল মোক্তাদিরকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর সে শুভকে বেয়াদবি করায় লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে বলে জানায়।
দোলেশ্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপাপ্ত সভাপতি কাজী সুলতান মোহাম্মদ সাইফুল জানান, এই মাদ্রাসা প্রায় ৬০ বছরের পুরনো। এখানে ছাত্রদের মারা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক দুই বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন। এখানে ছাত্রদের আঘাত করা সম্পূর্ণ নিষেধ। তিনি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুভকে মারধর করেছেন।