জবি ভিসির বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি
সাজ্জাতুল সবুজ, জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কে হেয় প্রতিপন্ন করে ভিসি ড. মীজানুর রহমানের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসি ড. মীজানুর রহমান এর সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। এসময় তারা বলেন, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে মনে ধারণ করে না, তাহলে তিনি কেন জবির ভিসি পদে বহাল থাকবেন। আমরা তার সাম্প্রতিক কালের বক্তব্যে খুবই ব্যথিত হয়েছি।
মানবন্ধনের সময় ১২ তম ব্যাচ এর শিক্ষার্থী তৌসিব মাহবুব সোহান বলেন ভিসি তার বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কে ছোট করেছেন এবং তিনি যদি আগামী রবিবারের মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে তারা সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচীতে যাবো। এছাড়া আরো বলেন পরবর্তীতে ভিসি, প্রোভিসি এবং ট্রেজারার যেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
১০ম ব্যাচ নৃবিজ্ঞান বিভাগের মৌসুমি ইসলাম বলেন, সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তারা লাগাতার কর্মসূচিতে যাবেন।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীরা আগামী রোববারের মধ্যে উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানান। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথাও জানান তারা।
জানা যায়, বেসরকারি টেলিভিশনে এক টকশোতে কথা প্রসঙ্গে উপাচার্য মীজানুর বলেন, যুবলীগের দায়িত্ব পেলে তিনি উপাচার্য পদ ছেড়ে দেবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যদি দায়িত্ব দেন তাহলে তিনি উপাচার্য পদ ছেড়ে দিয়ে যুবলীগের পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বক্তব্যের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে উপাচার্য বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের না। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী না, আমি এখানকার নিয়োগকর্তা।
উল্লেখ্য তিনি জবি ভিসি হলেও তিনি এখনো যুবলীগের সভাপতিম-লীর এক নম্বর সদস্য, যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর বহির্ভূত।