স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো ভাবে মানবাধিকারের সাথে জড়িত। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম পর থেকেই মানবাধিকারের বিষয়টি শুরু হয়। শিশু জন্মের পর কান্নার মাধ্যমে তার অধিকার আদায় করে। মানবাধিকার প্রত্যেকের জন্মগত অধিকার।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং জেলার সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, যদি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে নীতির বিরুদ্ধে কোনো কাজ হয়, তা হলে মানবাধিকার কমিশন জেগে উঠে। কারণ- মানবাধিকার সবখানে সমান।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিকার কমিশন বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন হয়রানি, মাদকদ্রব্য, গুম, খুন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করে। অর্থাৎ যেকোনো বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তা প্রতিরোধে কাজ করে মানবাধিকার কমিশন।
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশন শুধু বাংলাদেশেই আছে এমন নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার কমিশন আছে। তারপরও বিভিন্ন দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সেসব দেশে মানুষকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি জানান, ৬৪ জেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর মাধ্যমে জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা সক্রিয় হবে।
মানবাধিকারের সংস্কৃতি দেশে সবার মাঝে তুলে ধরতে চায় স্বাধীন এ সংস্থাটি। এ সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হটলাইন নম্বর ১৬১০৮ এ ফোন করে যেকোনো সমস্যার কথা জানানোর পরামর্শ দেন সংস্থাটির প্রধান।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।