জিয়া নির্বাচন ব্যবস্থা কুলশিত করেছে – প্রধানমন্ত্রী
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কুলশিত করেছে জিয়াউর রহমান। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হ্যা-না ভোট করেছে। না ভোট কেউ খুজে পায় না। হ্যা ভ্টোই ছিল। জিয়াউর রহমান সেনা প্রধান থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। সেনাক্যাম্পে থেকে উচ্ছিষ্ট ছিটিয়ে দল গঠন করে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় দখল করে দল গঠনকারী দলও অবৈধ। ক্ষমতায় বসে গঠন করা দল জনগণের কল্যাণের দল হতে পারে না। আজ বিকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ আয়োজিত রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনিস্টিউশন মিলনায়তনে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণার পর এটাই ছিল প্রথম কোন সভা। সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চারনেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হয়। এই হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে খন্দকার মোশতাক। পরে মোশতাকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জিয়াউর রহমান। পবিত্র সংবিধান লংঙ্ঘন করে ক্ষমতায় আসে তারা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসে। স্বাধীনতাকে নসাৎ করাই ছিল উদ্দেশ্য খুনি চক্রের। স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলতেই এই হত্যাকান্ড করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনা আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে হতা কু ষড়যন্ত্রেও রাজনীতি শুরু হয়। মোশতাক জিয়াকে সেনা প্রধান বাহিনী দিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান একদিকে রাষ্ট্রপ্রধান। সেনা প্রধান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালাবদল শুরু। বাংলাদেশে ১৯বার ক্যু হয়েছিলো। সেনাবাহিনীর শত শত অফিসারসহ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকমীদের হত্যা করা হয়েছিল। সশস্ত্রবাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজ, আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীকে জিয়াউর রহমান রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। সংবিধানে ৩৮ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে স্বাধীণতা বিরোধীদেও ভোটের অধিকার করে দেয়। দেশকে উল্টোপথে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এবং দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাদেক খান, দক্ষিণের শাহে আলম মুরাদ। বিকাল ৩টায় স্মরণসভার কথা থাকলেও বেলা দুইটার আগেই মিলনায়তন পুর্ণ হয়ে যায়। মোহাম্মদ নাসিম ও সিমিন হোসেন রিমির পিতার স্মৃতি চারণ বক্তৃতায় উপস্থিত অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে স্বাধীনতা বিরোধীরা পরাজিত হবে। আগামী নির্বাচনে তারা পরাজিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ক্ষমতায় আসবো। ভিনিউজ।