জীবনে কোনোদিন ভাবিনি জমি দালান ঘরের মালিক হবো

0 ১০২
নাটোর প্রতিনিধি : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে নাটোর জেলার তিন উপজেলায় ৫৬৭টি বাড়ি হস্তান্তর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৯ আগস্ট) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমির দলিলসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকা প্রণয়ন শেষে দলিলের নাম খারিজের কাজ শেষ হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা এ তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে জেলার ৩ উপজেলায় ৫৬৭টি বাড়ির নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। যার মধ্যে নাটোর সদর উপজেলায় ১০০টি, নলডাঙ্গা উপজেলায় ১০৮টি এবং সিংড়া উপজেলায় ৩৫৯টি বাড়ি প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে নাটোর জেলায় ৫ হাজার ৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল আরও ৫৬৭ টি বাড়ি হস্তান্তের মাধ্যেমে জেলায় মোট ৫ হাজার ৬১৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার উপহারের ঘর পাবে। দুই শতাংশ জমির ওপর দুই কক্ষের এসব ঘরে সংযুক্ত একটি রান্নাঘর ও টয়লেট ও পানি খাওয়ার জন্য টিউবওয়েল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এসব প্রতিটি ঘর তৈরিতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।
২০২২ সালের ১৮ জুলাই জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলা এবং একই বছর ২৭ ফেব্রয়ারি গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
নলডাঙ্গা উপজেলা বাঁশিলা এলাকার সুবিধাভোগী বৃদ্ধ কমেলা বেগম (৬৫) সুমি খাতুন (৩৯)বলেন , আমার জীবনে কোনো দিন ভাবিনি আমি দালান ঘরে সুয়ে থাকবো। আল্লাহ রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উছিলায় পাকা ঘরের আশা পুরণ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সত্যিই গরীবের সরকার। আগে ভাঙা ঘরে থাকতাম। বৃষ্টির পানিতে ভিজে কতই কষ্ট করতাম। এ সরকার আমাদের মতো গরীব ভূমিহীনদের ঘর দিয়েছেন ও জমি মালিক বানিছেন।
একই এলাকার সুবিধাভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে আমরা ভাঙা ঘরে থাকতাম। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার একটি বাড়ি দিয়েছেন। আমরা কখনো কল্পনা করিনি যে, সুন্দর পাকা ঘরে সন্তানদের নিয়ে থাকতে পারবো। জীবনে এমন বাড়ি করার আমাদের সামর্থ্য ছিল না। এমন সুন্দর বাড়ি করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আরেক উপকারভোগী বৃদ্ধা সামাদ মন্ডল বলেন, আগে ঝুপড়ি ঘরে থাকতাম, এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে থাকি। পাকা দালান ঘরে থাকতে পেরে অনেক আনন্দ লাগে। এখন আর বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হয় না। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে ঘর দেওয়ার জন্য।

Leave A Reply

Your email address will not be published.