জীবন বদলে দেয় যে দুই ডজন বই
লাইফস্টাইল অনলাইন ডেস্ক : বই আপনার জীবটাকে বদলে দিতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ের নানা বই আপনাকে বহু গুণে গুণান্বিত করতে পারে। এখানে বিশেষজ্ঞ রায়ান হলিডে আপনাদের জানিয়েছেন ২৪টি বইয়ের কথা। এগুলো আপনার জীবনটাকে নিঃসন্দেহে বদলে দেবে। আর এসব বইয়ের কথা সাধারণত জানেই না মানুষ।
১. সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন জেনোফোন। তার জ্ঞান ছড়িয়ে পড়েছে ‘সাইরোপিডিয়া’ গ্রন্থে।
২. দার্শনিক ছিলেন না এমন মানুষদের থেকে আসা সেরা দর্শন রয়েছে পাবলিয়াস সাইরাসের ‘দ্য মোরাল সেইংস অব পাবলিয়াস সাইরাস: আ রোমান স্লেভ’।
৩. খ্রিস্টপূর্ব ১৭০ অব্দে কিছু বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে একক ক্ষমতাধর মানুষটি লিখলেন তার জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষার কথা। মার্কাস অরেলিয়াস এর লিখা গ্রন্থটির নাম ‘মেডিটেশনস’।
৪. মানুষের জীবনী সংক্রান্ত ছবি তুলে ধরলেন দা ভিঞ্চির বন্ধুপ্রতিম জর্জিয়ো ভাসারি। গ্রন্থটির নাম ‘দ্য লাইভস অব দ্য মোস্ট একসেলেন্ট পেইন্টারস, স্কাল্পচারস অ্যান্ড আর্কিটেকচারস’।
৫. দেশপ্রেমের ধারণা আজকের নয়। সাধারণ একটি ঘটনা নিয়ে ১৮৬৩ সালে প্রকাশ পায় অসাধারণ এক বই ‘দ্য ম্যান উইদআউট আ কান্ট্রি’। এর লেখক অ্যাডওয়ার্ড ই হেল।
৬. ক্রীতদাসের এক সত্যিকার কাহিনী সলোমন নর্থাপের ‘টুয়েভ ইয়ারস অব আ স্লেভ’। ক্রিতদাস বিষয়ে যত বই লেখা হয়েছে, তার মধ্যে এটি না পড়লেই নয়।
৭. আমেরিকার সিভিল ওয়ারকে সবচেয়ে ভয়ংকরভাবে তুলে ধরতে পেরেছিলেন অ্যাম্ব্রোস বিয়েরস। পড়ুন তার ‘সিভিল ওয়ার স্টোরিস’।
৮. এক পেশাদার জুয়াড়ি এবং অপরাধীর জীবন নিয়ে জর্জ ডেভোলের ‘ফোর্টি ইয়ারস আ গ্যাম্বলার অব মিসিসিপি’।
৯. বেঁচে থাকার লড়াই নিয়ে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনী ন্যুট হ্যামসান এর ‘হাঙ্গার’।
১০. পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এক মিলিওনিয়ার পরিবারের কাহিনী জর্জ হোরেস লরিমার এর ‘লেটারস ফ্রম আ সেল্ফ-মেড মার্চেন্ট টু হিস সন’।
১১. সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুষ্টিযোদ্ধাদের একজন জনসন। তাকে নিয়ে এক অসাধারণ বই জ্যাক জনসনের ‘মাই লাইফ অ্যান্ড ব্যাটেলস’। এর ভাষান্তর করেন ক্রিস্টোফার রিভারস।
১২. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লেখা সবচেয়ে মূল্যবান বই সম্ভবত এটি। তবে নানা কারণে উইলিয়াম মার্চ এর লেখা ‘কম্পানিকে’ বইটির কথা ভুলে গেছি আমরা।
১৩. আমেরিকার মধ্যবিত্তের জীবন নিয়ে বিদ্রুপাত্মক এক বইয়ের কথাও ভুলে গেছি আমরা। কিন্তু পুরনো হলেও অসামান্য বই সিকক্লেয়ার লিউসের ‘র্যাবিট’।
১৪. ১৯৩৪ এর সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা সাংবাদিকের একজন উইলিয়াম সিব্রুক। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ও ঘটনা নিয়ে লিখেছেন ‘অ্যাজাইলাম: অ্যান অ্যালকোহলিক টেকস দ্য কিউর’।
১৫. একজন বাস্তবিক জীবন কিভাবে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে গিয়ে নষ্ট হয় তার উদাহরণ জন ফ্যান্টে এর ‘আস্ক দ্য ডাস্ট’।
১৬. মিলিটারি কৌশল এবং ইতিহাস বিষয়ে সবচেয়ে ভালো লেখক লিডেল হার্ট। তার বই ‘স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড হোয়াই ডোন্ট উই লার্ন ফ্রম হিস্ট্রি?’।
১৭. নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনার কাহিনী কতটা জীবন্ত হতে পারে, তার প্রমাণ এফ স্কট ফিৎজেরাল্ডের ‘দ্য ক্র্যাক আপ’।
১৮. বন্দিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ংকর অপরাধী কারপিসের সঙ্গে দেখা হলো চার্লি ম্যানসন নামের এক অদ্ভুত যুবকের। অপরাধী তাতে শেখালেন কিভাবে গিটার বাজাতে হয়। পড়ুন আলভিন কারপিসের ‘অন দ্য রক: টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ারস ইন আলকার্টৎজা’।
১৯. ১৯৪৯ সালে বিখ্যাত সাংবাদিক জন গুন্থার তার ছেলের মৃত্যু নিয়ে লিছেন ‘ডেথ বি নট প্রাউড’।
২০. ইতিহাসের বিভিন্ন স্তর দারুণভাবে উঠে এসেছে বাড শুলজবার্গের ‘দ্য হার্ডার দে ফল’বইটিতে।
২১. এটি বই নয়, নিবন্ধ। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে একটা কিছু পড়তে হলে এটা পড়তে হবে। লি স্যান্ডলিনের ‘লুজিং দ্য ওয়ার’।
২২. ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া এক নারীর প্রাত্যহিক নোট নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। ফ্লোরিডা স্কট ম্যাক্সওয়েলের ‘দ্য মেজার অব মাই ডেইস’ ১৯৬৮ সালে লেখা হয়।
২৩. কোথাও থেরাপি দিতে বা নিতে যাচ্ছেন? তাহলে পড়ুন জে হ্যালির ‘দ্য পাওয়ার ট্যাকটিস অব জেসাস ক্রাইস্ট অ্যান্ড আদার এসেস’।
২৪. সাইবেরিয়াতে পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে এক বাঘের পেছনে লাগলেন একজন মানুষ। এতে বাঘটি আঘাত পায়। বাঘটিও মানুষটিকে মারতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং খুনের নেশায় পেয়ে যায় তাকে। অবশেষে তাকে থামায় রাশিয়ান সোয়াট বাহিনী। জন ভাইল্যান্টের ‘দ্য টাইগার: আ ট্রু স্টোরি অব ভিঞ্জেন্স অ্যান্ড সারভাইভাল’। ব্রেকিংনিউজ/