ঝিনাইদহে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫৮ চাঁদাবাজ !

0 ৩,০০৩

jhanaidaha_ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫৮ চাঁদাবাজ। এদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন ১৮১ জন গডফাদার। তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে চাঁদাবাজের সংখ্যা বেশি। এরপরেই রয়েছে ঢাকা বিভাগের অবস্থান।

তবে গডফাদার বেশি ঢাকা বিভাগে। দেশের শীর্ষ এক গোয়েন্দা সংস্থা ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানের (ঢাকা মহানগর ছাড়া) মার্কেট,ফুটপাথ,শপিং মলে চাঁদাবাজি নিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ প্রতিবেদন এমনটাই জানিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে ঢাকা, চট্টগ্রাম,ঝিনাইদহ, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের চাঁদাবাজ ও তাদের গডফাদারদের নাম, তাদের দলীয় পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে মোট চাঁদাবাজের সংখ্যা ১৬৪ জন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ১০০ জন, বিএনপি’র ১২ জন এবং সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী ও অন্যান্য ৫২ জন।

এসব চাঁদাবাজকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন ৯১ জন গডফাদার। গডফাদারদের মধ্যে ৭১ জন আওয়ামী লীগের, বিএনপি’র তিনজন এবং অন্যান্য ১৭ জন। রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগে মার্কেট-ফুটপাথের ৭৩টি স্পটে চাঁদাবাজি সংঘটিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিভাগে মোট চাঁদাবাজের সংখ্যা ১৮৫ জন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৮৮ জন, বিএনপি’র ২৬ জন এবং সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী ও অন্যান্য ৭১ জন। এসব চাঁদাবাজকে পৃষ্ঠপোষকতা (গডফাদার) করছেন ৪৮ জন।

গডফাদারদের মধ্যে ২৮ জন আওয়ামী লীগের, বিএনপি’র দুজন এবং অন্যান্য ১৮ জন। মহানগরীসহ চট্টগ্রাম বিভাগে মার্কেট/ফুটপাথের ৮৪টি স্পটে চাঁদাবাজি সংঘটিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিভাগে মোট চাঁদাবাজের সংখ্যা ৬৬ জন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৫৩ জন, বিএনপি’র ৫ জন এবং সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী ও অন্যান্য ৮ জন।

এসব চাঁদাবাজকে পৃষ্ঠপোষকতা (গডফাদার) করছেন ১৮ জন। গডফাদারদের মধ্যে ১৫ জন আওয়ামী লীগের, বিএনপি’র একজন এবং অন্যান্য দুজন।

মহানগরীসহ রাজশাহী বিভাগে মার্কেট-ফুটপাথের ৫৬টি স্পটে চাঁদাবাজি সংঘটিত হতে পারে। খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ সম্পর্কে বলা হয়েছে খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে মোট চাঁদাবাজের সংখ্যা ৪৩ জন।

এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১ জন, বিএনপি’র ১১ জন এবং সুবিধাবাদী-সন্ত্রাসী ও অন্যান্য ১১ জন। এসব চাঁদাবাজকে পৃষ্ঠপোষকতা (গডফাদার) করছেন ২৪ জন।

গডফাদারদের মধ্যে ১৫ জন আওয়ামী লীগের, বিএনপি’র তিনজন এবং অন্যান্য ছয়জন। বিশেষ প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসবগুলোকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন বিপণি বিতান, সুপার মার্কেট, ফুটপাথসহ শহরের অলিগলিতে ব্যাপক কেনাবেচা হয়ে থাকে।

আর এই উৎসবগুলোকে সামনে রেখে দেশের মহানগরী, জেলা ও উপজেলায় মার্কেট ও ফুটপাথে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজির তৎপরতা বৃদ্ধি পায়।

এজন্য বিশেষ সংস্থা থেকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সারা দেশের মার্কেট-ফুটপাথে চাঁদাবাজি সংঘটনের স্থান, সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নাম এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হয়। এর ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষ প্রতিবেদনে মন্তব্য আকারে বলা হয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সুবিধাবাদী ব্যক্তি বিভিন্ন মার্কেট- ফুটপাথে চাঁদাবাজি করলে দলের ও বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

এসব চাঁদাবাজদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগে থেকে জানলেও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে তাদের তেমন কোনো কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয় না।

প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ দিয়ে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেচাকেনা নির্বিঘœ করতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এছাড়া, দলীয় পরিচয়ধারী চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেয়া যায়।

একই সঙ্গে চাঁদাবাজদের গডফাদার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের কেন্দ্র থেকে সতর্ক করার সুপারিশ করা যেতে পারে।

এতে বলা হয়েছে, কেউ যাতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া যায়।

এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেয়া যায়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য চাঁদাবাজির মতো কাজে সহযোগিতা করলে তাদের শনাক্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ প্রতিবেদনের আলোকে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে প্রযয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহে এবার বিআরটিসি বাস-ট্রাকের ভয়াবহ সংঘর্ষে আহত ২০ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর-পবহাটী কলারহাট এলাকায় বিআরটিসি বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের বড় কামারকুন্ডু গ্রামের জমারত আলীর ছেলে আবু তালেব (৪৫), চাকলাপাড়ার কালিপদ ঘোষের ছেলে বিষ্ণুপদ ঘোষ (৪৫), ঠাকুরগাঁও শহরের জলিল উদ্দিন (৪০) এবং তার স্ত্রী এলিনা (৩৫) ও মেয়ে জয়তি (০৬), মগুরা জেলার বেরুইল গ্রামের সোরাব হোসেনের ছেলে বিআরটিসি বাসের হেল্ফার লাবু হোসেন (৩৫), বগুড়া জেলার মহেশপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে বিআরটিসি বাসের ড্রাইভার নাজমুল হোসেন (৩৫), রংপুর শহরের রাসেল আহমেদ (৩০), গাইবান্ধার পলাশবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে শফিউর রহমান (৩০), বগুড়ার লতিফপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে খোরশেদ আলী (৩০), সাতক্ষীরা উপজেলার জামালনগর গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের ছেলে বাদশা মিয়া (৩০), নাটোরের গোয়ালবান্দা গ্রামের চয়নুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), কালীগঞ্জ উপজেলার মাঠপাড়ার চাচড়া গ্রামের রহমান আলীর ছেলে শুকুর আলী (৬০), কুড়িগ্রাম জেলার চাপড়াডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী আনোয়ারা (২৫) একই জেলার চতালক গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে সাইদুর রহমান (২৫), মেহেরপুর জেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০), রংপুর জেলার জয়রামপুর গ্রামের ইফাত আলীর মেয়ে তাসলিমা খাতুনসহ (২০) ২০ জন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার ও এসআই কবির সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিককে কে জানান, দুপুরে সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা চিলমারী কুড়িগ্রামগামী বিআরটিসির একটি বাস ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর-পবহাটী রাস্তায় কলারহাটে এলে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এতে ২০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তিতে ঝিনাইদহ সদও থানার এসআই কবির ও ঝিনাইদহের র‌্যাব-৬ এর টহল টিম উপস্থিত হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিআরটিসি বাসের হেল্ফার লাবু হোসেন সহ তিন জনের অবস্থা অত্যান্ত গুরুতর বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা যখন ভিক্ষুকের শহর !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৬০৬ জন ভিক্ষুক ৪ বছর ধরে ভিক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে ভিক্ষুকের এই তালিকা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ।

এদিকে, খোদ ভিক্ষুকরাই উপজেলা প্রশাসনের এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ করে জানান, তালিকাতে ৬০৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে যাদের অর্ধেকই ভিক্ষুক নয়। শৈলকুপা উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপায় পৌরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।

তালিকা অনুসারে পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডেই ১৪৭ জন ভিক্ষুকের নাম অন্তর্ভূক্তি হয়েছে। এছাড়াা ত্রিবেণী ইউনিয়নে ৩১ জন, মির্জাপুর ইউনিয়নে ৫৫ জন, দিগনগর ইউনিয়নে ১৫ জন, কাঁচেরকোল ইউনিয়নে ২৭ জন, সারুটিয়া ইউনিয়নে ৩৫ জন, হাকিমপুর ইউনিয়নে ৩০ জন, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে ৩৭ জন। এছাড়া মনোহরপুর ইউনিয়নে ৩৮ জন, বগুড়া ইউনিয়নে ২৯ জন, আবাইপুর ইউনিয়নে ৩৮ জন, নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নে ১৮ জন, উমেদপুর ইউনিয়নে ৩৬জন, দুধষর ইউনিয়নে ৪৭জন ও ফুলহরী ইউনিয়নে ২৩ জনের নাম ভিক্ষুক তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

শৈলকুপা ভিক্ষুক সমিতি নামে ভিক্ষুকদের একটি সংগঠন রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে ভিক্ষুকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করে।

এই সংগঠনের একজন সদস্য আউশিয়া গ্রামের ইনতাজ শেখ। তিনি জানান, তালিকায় তার নাম দেয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা ভিক্ষুক না এমন নাম দেয়া হয়েছে।

ভিক্ষুক সমিতির হিসাব মতে, শৈলকুপায় প্রায় সাড়ে ৩০০ ভিক্ষুক রয়েছে। অথচ ৬ শতাধিক মানুষ এই ভিক্ষুক তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করেছে। এ প্রসঙ্গে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম সাংবাদিককে জানান, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সে অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তাদের দেয়া তালিকা মতে ৬০৬ জনের নাম দেয়া হয়েছে।

জঙ্গলে কুড়িয়ে পাওয়া ঝিনাইদহের সেই অরণ্য কেমন আছে ?
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের জঙ্গলে পড়ে পাওয়া সেই শিশু অরণ্য পালিত পিতা-মাতা বসির আহম্মেদ ও আমেনা খাতুনের কাছে বড় আদরেই আছে। দিন দিন বড় হচ্ছে অরণ্য।

অরণ্যকে ভুলেননি কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেন। শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার পর ডাক্তার দেখানো, দুধ ও পোশাক কিনে দেওয়াসহ নাম রেখেছিলেন তিনি। বর্তমানে মেহেরপুরের গাংনী থানায় কর্মরত রয়েছেন আনোয়ার হোসেন। এখনও তিনি শিশু অরণ্যের খোঁজ-খবর রাখেন।

অরণ্য কেমন আছে, কিভাবে কাটবে তার ঈদ উৎসব এসব ভেবে ওসি আনোয়ার ছুটি না পেলেও রোববার স্ত্রী-সন্তানদের পাঠান কালীগঞ্জে। তারা সবাই মিলে দুপুরে যান অরণ্যের পালিত পিতা বসির আহম্মেদের গোপালপুর গ্রামের বাড়িতে।

সেখানে তাকে কোলে তুলে নেন মিসেস আনোয়ার। এসময় ওসি আনোয়ারের দু’কন্যা ও এক পুত্র সন্তানও ছিলেন। তারা শিশুটিকে আদর করেন। সে সময় শিশুটিকে ঈদের নতুন পোশাক পরিয়ে দেন।

খাবার জন্য হাতে তুলে দেয় দুধ। জঙ্গলে পড়ে পাওয়া শিশুটি বড় আদর যতেœ পালিত হতে দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মহৎ এ কাজের জন্য বসির দম্পতিকে ধন্যবাদ জানান মিসেস আনোয়ার।

উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি কবর স্থানের জঙ্গলে সদ্য ভুমিষ্ট এক ছেলে নবজাতক শিশুকে পাওয়া যায়। শিশুটির নাম অরণ্য রাখেন ওসি আনোয়ার হোসেন।

বেহাল দশা রাস্তা-ঘাটের বিপাকে ঝিনাইদহের এলাকাবাসী !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
জেলা শহর ঝিনাইদহ এবং পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। খুব দ্রুত এ রাস্তার সংস্কার দরকার।

অন্যথায় হাজারো মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কথাগুলো জানালেন শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী, রমজান মিয়া ও কওসার মন্ডল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফুলহরি, দেবিনগর, বেড়বাড়ি, চাঁদপুরসহ ওই এলাকার ১০ গ্রামের মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করে। প্রায় সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করে। কুরবানি সামনে রেখে পশু বোঝাই গাড়ি, পাট বোঝাই গাড়িসহ পণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হাসান সাংবাদিককে জানান, প্রায় এক মাস আগে অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তাটি ভাঙতে ভাঙতে সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বড় ধরনের যান চলাচল। ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইক চলাচল করলেও প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ঈদের পর পর কাজ শুরু হবে।

শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তারিককে জানান, খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি সংস্কার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহের কুরবানীর গরু ‘বাদশা’র দাম ২২ লাখ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কুরবানীর গরু বাদশার দাম ২২ লাখ টাকা। আট ফুট লম্বা, পাঁচ ফুট উচ্চতার কালো রঙের গরুর সামনে অনেক মানুষের জটলা।

কেউ বলছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’, কেউ বলছে ‘কালা চাঁদ’। গরু পালনকারী এর নাম রেখেছেন ‘বাদশা’। দাম হাঁকিয়েছেন ২২ লাখ টাকা।

ঝিনাইদহ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা বাজারে নিয়ে এসেছেন পালনকারী বকুল মিয়া। রবিবার সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথে রাখা হয়েছে সেটিকে।

শুধু বাদশা নয়, এর মতো আরও চারটি গরু আছে বকুল মিয়ার। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বড় গরু কোরবানি দেন জানতে পেরে প্রথমবারের মতো এখানে গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ট্রাকে করে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু গ্রাম থেকে গরুগুলো নিয়ে এসেছেন এই ব্যবসায়ী।

২০ বছর ধরে গরুর ব্যবসায় জড়িত বকুল মিয়া বলেন, ‘আমি সারা বছর গরু লালন-পালন করে থাকি।

দেশের বড় বাজারগুলোতে গরু নিয়ে যাই। ক্রেতারা গরুগুলো দেখতে এলেও এখনও দরাদরি করছেন না। আশা করি, ভালো দামে গরুৃগুলো বিক্রি করতে পারব।’

বকুল মিয়া বলেন, এই পাঁচটি গরুর পেছনে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খাবারের জন্য ব্যয় হয়। পাঁচ বছর আগে ৪৫ হাজার টাকায় কেনা।

বাদশাকে লালন-পালনে তার খরচ হয়েছে সাত থেকে আট লাখ টাকা। কত টাকায় বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৫ লাখ টাকা হলে গরুটি ক্রেতার হাতে তুলে দেব।’

তিনি আরও জানান, বড় গরুটির চেয়ে একটু ছোট গরুটির মূল্য ১৮ লাখ টাকা চাচ্ছেন। ১২ লাখ টাকা হলে সেটি বিক্রি করবেন। অন্য তিনটি গরু ১৫ লাখ করে দাম হাঁকালেও আট থেকে নয় লাখ টাকা করে বিক্রি করবেন।

সাগরিকা গরুর বাজারের প্রবেশপথের পাশে অস্থায়ী গরুর বাজার ইউনুস মার্কেটের মালিককে জায়গা ভাড়া বাবদ প্রদান করতে হবে ৫০ হাজার টাকারও বেশি। গরুগুলো আনতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

ঝিনাইদহে শৈলকুপায় ৬০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক ২ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় থানাধীন তমালতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শেখ মো: আনোয়ার হোসেন ইং-১১/০৯/২০১৬খ্রি: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬০ (ষাট) বোতল ফেনসিডিল ও একটি লাল পালসার সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধিন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.