
মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচনে ফল বিপর্যয় হয়েছিল রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে। রাজশাহীতে ২০১৩ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ আমাকে বলেছিল, আমরা বড় একটা ভুলে করে ফেলেছি। সেই ভুলটা আমরা সংশোধন করতে চাই। এরপর আমরা লক্ষ্য করলাম ভুল সংশোধন করে তারা ২০১৮ সালে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেন। ৫ বছরের মধ্যে আমরা মাত্র আড়াই বছর উন্নয়ন কাজে সময় পেলাম। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। তবে মাত্র আড়াই বছরে যে উন্নয়ন করেছি, সেই কাজের প্রশংসা আমরা রাজশাহীবাসী পাচ্ছি। উন্নয়ন কাজ অনেক হয়েছে, আরো হবে। তবে রাজশাহীবাসীর দাবি কর্মসংস্থান। এইবারের আমার ইশতেহারে ১ নম্বরে রেখেছি কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচিত হলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।
তিনি আরো বলেন, তরুণ-তরুণীদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য শহরে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবে তারা। আমরা কাজের ক্ষেত্রও দেখিয়ে দেবো।
২০ নং ওয়ার্ডের পথসভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাজশাহীর কৃতি সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেঈমানি করেননি। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান সাবেক সফল মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে যে রাজশাহী একটি পরিচ্ছন্ন শহর, শান্তির শহর হিসেবে সারাদেশে পরিচিত পেয়েছে, তার কারিগর খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য যেমন শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার। তেমনি রাজশাহীর উন্নয়নে লিটন ভাইকে বারবার দরকার। আমি বিশ^াস করি আগামী ২১ জুন নির্বাচনে বিপুল ভোটে খায়রুজ্জামান লিটনকে নির্বাচিত করবে রাজশাহীবাসী।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কাস পাটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর জাসদ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেক, ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের ২১ নং কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম সহ ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।