তানোরে বিএমডিএ’র গাছ নিলামে অনিয়ম

0 ৮৫

তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) রোপিত গাছ নিলামে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বিএমডিএ তানোর জোন কার্যালয় ঘিরে গড়ে উঠেছে তিন সদস্যর সন্বনয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র। বিএমডিএ’র কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট চক্র নামমাত্র মূল্যে লাখ লাখ টাকা মূল্যের গাছ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কথিত নিলামে এসব গাছের যেই মুল্যে দেখানো হচ্ছে।

এলাকায় মাইকিং ও ঢোলশহরত করা হলে এসব গাছের মুল্যে তার ১০ গুন বেশী হবে। বিএমডিএ বিভিন্ন দপ্তরে নামমাত্র চিঠি দিয়ে দায় সারছেন। ফলে মানুষ জানতেই পারছেন না, এতে ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও কেউ নিলামে অংশ নিতে পারছে না। ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যাপক প্রচারে মাইকিং ও ঢোলশহরত না করায় ঝড়ে পড়া, ঝুঁকিপুর্ণ ও মরা পরিপক্ক গাছ যেখানে যেঅবস্থায় নিলাম দেয়া হোক সিন্ডিকেট চক্র ব্যতিত অন্যকেউ অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না।

স্থানীয়রা ঝড়ে পড়া, ঝুঁকিপুর্ণ ও মরা পরিপক্ক গাছ বিক্রির পুর্বে, মাইকিং ও ঢোলশহরতের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি কোনো সম্পদ বিক্রি বা নিলাম করতে হলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, ঢোলসহরত ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।কিন্ত্ত তানোরে বিএমডিএ তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই গোপণে কথিত নিলাম দেখিয়ে প্রতিনিয়ত পানির দরে লাখ লাখ টাকা মুল্যের গাছ বিক্রি করছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষও নিলামের বিষয়ে জানতে পারে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিনে বিএমডিএ কথিত নিলামে নামমাত্র মূল্যে যে পরিমাণ গাছ বিক্রি করেছেন। মাইকিং ও ঢোলশহরতের মাধ্যমে বিক্রি করা হলে তার ১০ গুন বেশী টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হতো। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অল্প গাছ তাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি বা ঢোলশহরত-মাইকিং করা হয় না। তিনি বলেন, স্পটেই প্রকাশ্যে নিলাম দেয়া হয়, যে বেশী দাম বলে তাকে দেয়া হয়। তিনি বলেন, আগামীতে মাইকিং ও ঢোলশহরত করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.