তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদে মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকা প্রণয়নে স্বেচ্চাচারিতা ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগকারীরা। এনিয়ে তালন্দ ইউপির সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার বাদি হয়ে ইউপি সচিব রাশেল, মেম্বার আবুল হাসান ও গ্রাাম পুলিশ আব্দুল হান্নানকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অভিযোগের ১০ দিনেও কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে তালন্দ ইউপিতে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের জন্য ৭৯টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী সন্তান সম্ভাবনা বা দু’বছরের সন্তান রয়েছে এমন মা-দের যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তালন্দ ইউপিতে চেয়ারম্যানের মদদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে বহিরাগত ও ভূয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে তালিকা প্রণয়ন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগে বলা হয়, তালন্দ ইউপির মোহর গ্রামের বাসিন্দা শামসুদ্দিনের কন্যা নাহিদা বেগম, জিয়ার আলীর কন্যা চম্পা বেগম ও সাহিনুর বেগম অন্য এলাকায় তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর এরা স্বামীর বাড়িতে রয়েছেন। তারপরেও পিতার বাড়ির ঠিকানার তালিকায় এদের নাম দেয়া হয়েছে।এছাড়াও রোজিনা বেগম, হেলিনা বেগম ও লাইলি বেগম তাদের বয়স ১৮ বছর হয় নাই। একারণে তাদের ভোটর আইডি কার্ডও হয় নাই। ভূয়া ভোটার আইডি দেখিয়ে তালিকায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে। তালন্দ ইউপিতে মাতৃত্বকালীন ভাতা তালিকা প্রণয়নে এ রকম অসংখ্য অনিয়ম হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্যদের মধ্যে কার্ডের তালিকা আনুঃপাতিক হারে বন্টন করে দেয়া হয়েছে। তালিকা প্রস্তুতে অনিয়ম হতে পারে। এব্যাপারে ইউএনও সার তাকে বলেছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।
তালন্দ ইউপির সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, কার্ড তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা বিষয়ক অফিসার বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তারা এখানো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তিনি আরো বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে কর্মসুজন কর্মসূচিতে বারবার একই সদস্যদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে জানান হালিমা বেগম ।
তালন্দ ইউপির মেম্বার ও যুবলীগ নেতা আবুল হাসান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ উঙ্খাপন করেছেন হালিমা বেগম।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাসরিন বানুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।