তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আউট সোর্সিং (অস্থায়ী জনবল নিয়োগ) নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মরত করোনাকালীন সম্মুখ যোদ্ধা কর্মীদের মানবেতর জীবনযাপন। বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে এদের কেউ পরিচ্ছন্ন কর্মী, কেউবা ওয়ার্ড বয়, কুক ও আয়ার চাকরি নিয়েছেন। এতো নিম্ন পদে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে তারা হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হয়তো অচিরেই তাদের স্থায়ী নিয়োগ হবে এই আশায়। কিন্ত্ত প্রায় বছর যাবত তারা কোনো বেতনভাতা পাচ্ছেন না। কবে পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না ? সেটাও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেউই।
সুত্র জানায়, বিগত ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল সিভিল সার্জন সাক্ষরিত বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামের এক ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির নিজস্ব প্যাডে এই অনুমোদন দেয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে অস্থায়ী ভিত্তিক আউট সোর্সিং মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ৯ জন কর্মী তানোর উপজেলা হাসপাতালে যোগদান করেন। যার অনুমোদন দিয়েছেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক।
কিন্তু যোগদানের পর থেকে এসব কর্মচারীরা কোনো বেতন ভাতা পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে ৯ জন কর্মী যোগদান করেছেন। প্রতি মাসে তাদের ১৭ হাজার ৩৮০ টাকা করে বেতন দেবার কথা। এর মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ২ হাজা ৩৮০ টাকা করে নেয়ার কথা। কিন্ত্ত দীর্ঘদিন কোনো বেতন না পেয়ে ইতমধ্যে দু’জন কর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জনবল নিয়োগের বিষয়টি ঠিকাদাররা দেখছেন।
চুক্তিভিত্তিক কর্মরতদের আপাতত আউট সোর্সিং এর আওতায় নেয়ার সুযোগ নেই। তবে আগামী দিনে কেউ চাকরি ছাড়লে বা কোন কারনে পদগুলো শুন্য হলে আমি তাদের হয়ে সুপারিশ করবো। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা, বার্নাবাস হাসদা বলেন, আউট সোর্সিং বিষয়ে তাদের করনীয় কিছু নাই, এটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন।
এবিষয়ে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান) প্রতিনিধি পরিচয়ে জুয়েল বলেন, লোক নিয়োগের সময়ে তিনি ছিলেন না সুজন ও টিপু দেখভাল করেছেন। তিনি বলেন তারা কমিশনে সারাদেশে ব্যবসা করেন। বেতন দিবে সরকার তারা পাঁচ শতাংশ কমিশন পাবেন, তিনি আরো বলেন, অর্থ ছাড় হয়েছে আগামি সপ্তাহে বেতন দেযা হবে।