দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0 ১৩৫
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাত, হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার(০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দলিল লেখক সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নিয়ামতপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে গঠিত নিয়ামতপুর দলিল লেখক সমিতির কার্যকরী কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে সমিতির সদস্য শহিদুল ইসলাম দ্বায়িত্ব পান। তিনি কোষাধাক্ষের দ্বায়িত্ব পালনকালে  সাড়ে ৩ বছরে  দলিল লেখকদের মৃত্যু ভাতা, অবসর ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, অফিস ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ বিভিন্ন ফান্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই সময়ে তিনি প্রায় এক কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন। সাবেক কমিটি তাঁর কাছ থেকে হিসাব জানতে চাইলে তিনি হিসাব দিতে অগ্রাহ্য করেন। এমনকি সমিতির সাধারণ সভায় অর্থের হিসাব না দিয়ে কৌশলে অনুপস্থিত ছিলেন। হিসাব দাখিল না করায় সমিতি থেকে তাকে ২০২২ সালের ১৫ জুন বহিষ্কার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সমিতি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর নিজের অপকর্ম আড়াল করতে বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিষ্টার, জেলা রেজিষ্টার, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হয়রানীমূলক মামলা করেন। এ ঘটনার পর সমিতির সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ, উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরী হয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে অভিযোগে নিয়ামতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় কমিটির পক্ষ থেকে।
অতিবিলম্বে আত্মসাতের টাকা ফেরত ও হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেনন্দ্রনাথ, সদস্য আহমদ আলীসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থ আত্মসাতের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের আগে আমাকে কোনো নোটিশ করা হয়নি। আমার জবাব না শুনেই সমিতির বর্তমান কমিটি অন্যায়ভাবে আমাকে বহিষ্কার করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ চেয়ে দায়ীদের শাস্তি দাবি করে আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.