
বৃহস্পতিবার ছিল জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাট। হাটে নতুন জাতের আমন ধান স্বর্ণা-৫ ও জাত ৪৯ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত, জাত ৫১ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০ টাকা এবং জাত ৯০ বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। হাটে নতুন জাতের ধানের সরবরাহ বাড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে মনে কমেছে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে মৌসুমের শেষ সময় হওয়ায় পুরনো ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে মণে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। কাটারি ও জিরাশাইল ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা মন দরে। এ দিন হাটে প্রায় দুই হাজার ৫০০ মনের মতো বেচাকেনা হয়েছে। যার মুল্য প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা।
উপজেলার বড়মহেষপুর গ্রামের কৃষক মানিক বলেন- এক হাজার ৭০ টাকা মন হিসেবে ১১ মণ বিক্রি করলাম। গত এক সপ্তাহ আগে এ ধান মণে ১০০ টাকা বেশি ছিল। হাটে নতুন ধানের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। শ্রমিকদের মজুরি, আলু ও সরিষার আবাদ করার জন্য ধান বিক্রি করতে বাধ্য হলাম। আর ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে ধানের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।
লক্ষ্মিপুর গ্রামের কৃষক অতুল কবিরাজ বলেন, ৪৯ জাতের ১৬ মণ ধান এক হাজার ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম কম হওয়ায় কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর। এবছর আমনের আবাদ করতে বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর ফলন হয়েছে ১৫-১৬ মন। এছাড়া শ্রমিক খরচ, কীটনাশক ও সারের দাম বৃদ্ধি ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। যদি এক হাজার ৩০০ টাকা মণের নিচে ধান বিক্রি হয় তাহলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।
ধান ব্যবসায়ি জামান হোসেন বলেন, হাটে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে। নতুন ধানে ময়েশ্চার কম ও মরা ধান রয়েছে। এ ধান থেকে চাল উৎপাদন করলে কিছুটা ঘাটতি হবে। একারণে ব্যবসায়িরা কিছুটা কম দামে ধান কিনছে। আবার কৃষকের গোলায় পুরনো ধান এখন শেষ পর্যায়ে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।