আবু ছাইদ, ডোমার-নীলফামারী : নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় নকল প্রসাধনীর ব্যবসা জমজমাট। আসল প্রসাধনীর চেয়ে নকলের ঝলক বেশি তাই আকৃষ্ট করছে গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে। সহজ-সরল গ্রাম গঞ্জের মানুষরা নকল প্রসাধনীকে আসল ভেবে কম টাকায় পেয়ে আকৃষ্ট হয়ে নিজের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কিন্তু সচেতন না হওয়ায় এবং আসল নকল না বুঝার কারণে তারা জানেই না যে, এতে জীবনের ঝুঁকি আছে।
ডোমার উপজেলা শহর সহ চিলাহাটি এবং বিভিন্ন হাটবাজারে নকল প্রসাধনীর ব্যবসা জমজমাটভাবে চলছে। দেশী বিদেশী বড় বড় কোম্পানীর নকল লেবেল ছাপিয়ে নকল প্রসাধনির গায়ে লাগিয়ে বাজারজাত করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। আর এই নকল প্রসাধনী ব্যবহার করে অনেকেরই মুখমন্ডলসহ দেহের বিভিন স্থানে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।
এবিষয়ে চিকিৎসকের মতামত, এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতসহ এলার্জি, চর্মরোগ হতে পারে। এমনকি ত্বকে ক্যান্সারের আশংকা থাকতে পারে।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার সহ ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী ও চিলাহাটির বিভিন্ন হাটবাজারের প্রায় প্রতিটি কসমেটিকস ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এই সকল নকল ¯েœা, পাউডার, তেল, লোশন, লিপিষ্টিক, বেবী লোশন, সাবান, শ্যাম্পু, ফেস ওয়াশ, হেয়ার কালারসহ অসংখ্য নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বর্তমানে জমজমাটভাবে চলছে। বাংলাদেশের কহিনুর ক্যামিকেল কোম্পনী, লিভার ব্রাদার্স, স্কয়ার, মেরীকো সহ অসংখ্য কোম্পানীর হুবহু লেভেল ছেপে প্রসাধনীর গায়ে লাগিয়ে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ভারতের ইউনিলিভার কোম্পানীর লেবেল একই কায়দায় লাগিয়ে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রসাশনের তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশের পণ্য বাজারজাতে অনেক প্রভাব পড়ছে। হিমসিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে ব্যবসায়িদের ভাষ্যে, এই সকল নকল প্রসাধনী তৈরীর কারখানা বন্ধ হলে আমরা ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রয় করবো না। এমনকি বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও যদি এটা নিয়ে কোন ধরপাকড় করতো তাহলেও এগুলোর বাজারজাত বন্ধ হতো।
ব্যবসায়ীদের ভষ্যে তারা আরও বলছেন, এক হাজার টাকার এই নকল প্রসাধনী বিক্রি করলে লাভ হয় চার থেকে পাঁচশত টাকা। প্রকৃত কম্পানীর এক হাজার টাকার প্রসাধনী বিক্রি করলে লাভ হয় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা। সেই কারণে গ্রাম-গঞ্জের ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় এই ব্যবসা করছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, বাংলাদেশের যে সমস্ত বড় বড়, কোম্পানী রয়েছে তারা সরকারকে রাজস্ব দিয়েই ব্যবসা করছে। অথচ এই নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা সরকার ও স্থানীয় প্রসাশনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এদেশের ব্যবসায়ীগণ লোকসানের সম্মূখীনসহ সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। এটা বন্ধ করা দরকার।