এম এম আরিফুল ইসলাম, নাটোর : নাটোর নলডাঙ্গায় বিলযোয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে প্রশংসাপত্র বিনিময় ১০০টাকা নেয়াসহ অনেক অনিয়মে অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগি বিদায়ী ৫ম শ্রেণীছাত্র- ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দ।
ছাত্রমেহেদী হাসান, মীম, মায়া, জুথি বলেন, ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হতে প্রশংসপত্র স্কুলে নিতে গেলে হুমায়ন কবির স্যার ১০০ টাকা নেয়া তারপরে আমাকে প্রশংসাপত্র দেন। শুধু আমকে নয় সবার কাছে থেকে টাকা নেওয়ার পর প্রশংসা পত্র দিয়েছেন। অভিভাবক জহিরুল ইসলাম,টিয়ারুল,সেলিনা বেগম,ফাতেমা বিবি,শফি মল্লিক বলেন,আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে ১০০ টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিয়েছে।এর আগে অতিরিক্ত পরীক্ষা ফ্রি আদায় করেছে। তিনিরা আরো বলেন শিক্ষকের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় সময় মতো স্কুলে যায় না বাড়ির কাজে ব্যাস্ত থাকেন।স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে তার ভগ্নিপতিসহ আতীয়স্বজন থাকায় তিনি কাওকে কেয়ার করে না নিজের ইচ্ছামত স্কুল চালান। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দিলে কোন কাজ হয় না।
এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেওয়ান শাহজালাল সত্ততা স্বীকার করে বলেন, তিনি ইচ্ছামতো স্কুল চালান, বই বিক্রি করে,সার্টিফিকেট তুলতে ও প্রশংসা পত্র নিতে টাকা নেয়। এর আগে পরীক্ষা ফ্রী অতিরিক্ত টাকা নেওয়া মৌখিক ভাবে তাকে সর্তক করার পরও কোন কাজ হয়নি। আজ নলডাঙ্গা স্যারে কাছে যাব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবার জন্যে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হুমায়ন কবিরের কাছে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে ১০০টাকা প্রসংশাপত্র সহ তার অনিয়মে বিষয়ে জানতে চাইলে,অকথ্য ভাষায় বলেন,তুই কে যে তকে বলতে হবে,আমি তোর চাকরি করি, তুমি কেহে শাহজালালসহ ম্যানেজিং কমিটির সবাই আমার লোক কেও কিছু করতে পারবি না।
নলডাঙ্গায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ রশিদা ইয়ামীন বলেন, প্রসংশাপত্র ও সনদপত্র নেবার জন্যে টাকা নিয়ার কোন বিধান নেই। যদি কেও নেয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.