নাসির হোসেনের মোক্ষম জবাব
খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম ফিনিশার ব্যাটসমেন নাসির হোসেন। নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের মূল একাদশে জায়গা হয়েছে তার। মোশাররফ হোসেনের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়ে হতাশ করেননি নাসির। দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। দলের দু:সময়ে ২৭ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি। ছিল দর্শনীয় দুটি চারের মারও।
বাংলাদেশের রানের চাকা যখন প্রায় অচল। ঠিক তখনই নাসির ও মাশরাফি মিলে বাংলাদেশের লড়াইয়ে ভালো একটা পুঁজি এনে দিলেন। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন গত বছরের ১১ নভেম্বর দেশের মাটিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর থেকেই ‘অজ্ঞাত’ কারণে টানা একাদশের বাইরে।
মজার ব্যাপার হলো, টি-২০ বিশ্বকাপে উইকেট কিপার মোহাম্মদ মিথুনকে খেলানো হয়েছে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। অথচ একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে সীমিত ওভার ক্রিকেটে অত্যন্ত কার্যকর অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে। এ নিয়ে চারদিকে সমালোচনা কম হয়নি, কিন্তু তাতে কানই দেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব ভালো করার পর আফগানিস্তান সিরিজে তার একাদশে থাকা নিয়ে সংশয় থাকার কথা ছিল না। কিন্তু সেই অজ্ঞাত কারণে এই সিরিজেও দ্বাদশ ব্যক্তি হয়ে থাকতে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে।
সাড়ে আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরে আনা হয় অন্তরালে চলে যাওয়া মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মোশাররফ রুবেলের পারফরম্যান্স নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে। নাসিরের মতো ভালো ‘অপশন’ থাকার পরও কেন পিছনে ফেরে গেল বিসিবি!
ভুল একাদশ বেছে নেওয়ার ফলেই ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে হারতে হয় বাংলাদেশকে। অবশেষে চতুর্মূখী চাপের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কথা হচ্ছে, এক বছর পর দলে ফেরা নাসির কি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবেন? নানা কারণে তার জন্য ব্যাপারটা কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। টানা একাদশের বাইরে থেকে এতদিনে তার মনোবলটাও কমে আসার কথা। তার সঙ্গে ভালো করার বাড়তি চাপ তো থাকছেই। এ ম্যাচে ভালো করতে না পারলে পরের ম্যাচেই বাদ। এই সত্য কথাটা নিশ্চয়ই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
কোচ হাথুরুসিংহে তাকে বারবার যে সুযোগ দিবেন না, সেটা তো নাসিরের ভালো করেই জানা।