নিরব প্রশাসন: পুঠিয়ার কাজুপাড়া বিলে রাতের আধারে চলেছে পুকুর খনন

0 ২২৪

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রতিদিন রাতের আধারে চলছে ফসলী জমিতে পুকুর খনন। ইতিমধ্যেই কয়েক বার অভিযান চালিয়ে বন্ধ থাকার পরও রাত ৯ টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ৩ টি ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খননের কাজ। পুকুর খননের তথ্য পাওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানাগেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কাজুপাড়া এলাকায় কয়েকজন কৃষকের প্রায় ৭০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে এলাকার কিছু দালাল শ্রেণীর লোকজনের সহযোগীতায় ৩টি ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন চলছে। এছাড়া আমঘোষপাড়া, টুলটুলিপাড়া, কানমাড়িয়ায় চলছে পুকুর খনন। কিছু স্থানে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে এবং মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যেখানে-সেখানে পুকুর খনন করায় ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হয়ে কমছে ফসলের উৎপাদন। তাছাড়া পুকুরের মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলায় গ্রামীণ সড়ক ও খেতের সীমানাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয় না। আর কিছু দালালদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

কাজুপাড়া ফসলী জমিতে পুকুর খনন কারী তাহেরপুরের লতিফ জানান, কারো কোন অনুমতি নাই। সেখানে ২০২২ সাল থেকে পুকুর খনন ও পাড়ি বাধার কাজ করা হয়েছে। যার কারনে সেখানে কোন আবাদ হয়না। তাই সেখানকার লোকজন আমাকে বলেন যে পুকুর খনন করে আপনিও বাঁচেন আমাদেরও বাঁচান।

শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, আমরা আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ বলেছি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নাই।

পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান জানান, গত মাসিক মিটিং এ এমপি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন কোথাও পুকুর খনন করা যাবে না। আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করলেও রহস্য জনক ভাবে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না।

শিলামাড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মান্নান জানান, আমি নওগাঁয় সাক্ষী দিতে এসেছি। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে যায়। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার ফিরে এসে খনন শুরু করে।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে প্রশাসন গিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সেই পুকুর খনন চলছে কিনা আমার জানা নাই।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক জানান, আমরা কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি। বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া রাতেও সেখানে অভিযান চালিয়েছি কিন্ত সেখানে কাউকে পাইনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.