পরীকে কেন মাফ করে দিলেন মিম?

0 ৯৬
মঞ্চে পরী ও মিম। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে সাবেক স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজের প্রেম চলছে–এমন সন্দেহের বশে মিমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন পরী মণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একে পর এক পোস্টের মধ্য দিয়ে বাক্যবাণে জর্জরিত করেছিলেন।

এরপর হুট করে সম্প্রতি আবার একমঞ্চে মিম, পরীকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া, কাঁধে হাত রেখে হাসিতে ফেটে পড়তে দেখা; যে কাউকে অবাক করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই ইস্যুতে মিম সোজাসাপ্টা স্বীকার করেছেন, পরীর সঙ্গে তাঁর যে মনোমালিন্য ছিল, তা দূর হয়ে গেছে ‘ঢাকা ফ্যাশন ডে’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে।

মিম বলেন, ‘দুই বছর আগে পরীমনি আমার জন্মদিনের রাতে ফেসবুকে একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে সবার সমানে অপমান করেছিল, হেয় করেছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এর পর থেকে আমি এড়িয়ে চলি তাকে। এদিন স্টেজে ওঠার আগে মঞ্চের পেছনে সবার সঙ্গে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ পরীমনি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, “এই তুমি আমার ওপর রাগ করে আছো? আমি সরি, ওসব কথা আর মনে রেখো না। ওসব ভুলে যাও। এই তুমি আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না?” এ ধরনের নানা কথা বলতে থাকে। আমি তো অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই এসে জড়িয়ে ধরার বিষয়টি আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ওই সময় সাবিলা নূর, তানজিন তিশাসহ অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন।’

মিম জানালেন, মঞ্চে ওঠার আগে, এমনকি অনুষ্ঠান শেষে চলে আসার সময়ও আরও দুবার একইভাবে জড়িয়ে ধরে ওই সব কথাই বলতে থাকেন পরী মনি মিম আরও বলেন, ‘প্রতিবার ওই একই কথা। আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না? আমার ওপর রাগ রাইখো না। যা হওয়ার হয়েছে, ভুলে যাও। সবকিছুর জন্য আমি সরি।’

তখন পরী মণিকে আপনি কী বলেছিলেন, জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, অবশ্যই বাচ্চাকে ভালোবাসি। তার বাচ্চাকে দেখতে তার বাসায়ও গিয়েছিলাম একসময়, সেটাও বলেছি তাকে। তবে আমি যখন পরীকে উল্টো জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই বলে “পরী, আমার তো কোনো দোষ ছিল না, তাহলে তুমি কেন এ ধরনের মিথ্যা স্ট্যাটাস দিয়ে পুরো দেশবাসীর কাছে আমাকে ছোট করেছ। সে সময় আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম?” তখন পরী বলেছে, “আরে ওসব ভুলে যাও। আমি সরি ওসবের জন্য। আমাকে ক্ষমা করে দাও। ওসব কথা মনে রাইখো না, কষ্ট নিয়ো না প্লিজ।”

তাহলে আপনি পরীকে কি ক্ষমা করে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে মিম বলেন, ‘যেভাবে আমাকে বারবার জড়িয়ে ধরে নিজের ভুল স্বীকার করল, অনুতপ্ত হলো, মানুষমাত্রই তো ভুল হয়, আমার আর কী করার আছে। ক্ষমা করে দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাঁকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.