ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : আসন্ন পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে অন্যান্ন মাছের তুলনায় ইলিশের বাজার অনেকটাই উর্ধ্বমূখী। গত কদিনের তুলনায় চলতি সময়ে যেমন বেড়েছে ইলিশের চাহিদা তেমনি বেড়েছে এর দাম।
ঠাকুরগাঁওয়ের বাসস্টান্ড বাজার, কালিবাড়ি বাজার এবং রোড বাজারে গিয়ে দেখা মেলে একই চিত্রের।
স্থানীয় এ বাজার গুলিতে ছোট-বড় ইলিশের ছড়াছড়ি, রয়েছে জাটকাও।
ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট সাইজের ইলিশ বা জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ টাকা কেজি দরে এবং বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৪শ টাকা দরে। গোয়ালন্দা সামুদ্রিক চন্দনাও বিক্রি হচ্ছে এসবের পাশাপাশি। তবে এ বছর চন্দনার চাহিদা তেমন ব্যাপক নয়। তাই ক্রেতারাও কিনছেন বেশ বুঝেশুনে।
বর্তমানে পহেলা বৈশাখে ইলিশ দিয়ে পান্তা খাওয়াটা একপ্রকার বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক রীতিতে পরিণত হয়েছে। যদিও বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক তার কোন যুক্তিসংগত কারন খুজে পাওয়া যায়না। তার পরও সংস্কৃতি রক্ষার নামে বিশেষ এ দিনটিতে আমাদের খাবার তালিকায় যোগ করতে হচ্ছে ইলিশ।
ঠাকুরগাঁওয়ের সংস্কৃতি ব্যাক্তিত¦ ও লেখক আজমত রানা জানান , ইলিশ ছাড়া পহেলা বৈশাখ উৎযাপন হবে না- এমন রীতি কে, কবে চালু করেছে তার কোনও হদিস পাওয়া যায় না। আবার ইলিশের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির কী সম্পর্ক তারও কোনও সঠিক ব্যখ্যা নেই। তারপরও বৈশাখ এলেই পাগলের মতো মানুষ ছুটছে ইলিশের পেছনে। এর ফলে যেমন এ মাছের ওপর একটি বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি আমরাও সাময়িক ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।
যেহেতু বর্তমানে ইলিশ পান্তাভাত আমাদের একপ্রকার সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে তাই যথাসময়ে আমাদের বাজার গুলিতে সঠিক তদারকির ব্যাবস্থা সরকারকে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন এখানকার সচেতন মহল।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.