পিসিবি বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ মোহাম্মদ আসিফের
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আসিফ। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার চোখে সেরা বোলার। দুর্দান্ত সুইংয়ের কারণে অল্প কদিনেই বিশ্ব ক্রিকেটে সমীহ জাগানো পেসারে পরিণত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। একটি ভুলই ধ্বংস করে দিয়েছে সব। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে সাত বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানের ডানহাতি এই পেসার। তারপর আর দলে ফিরতে পারেননি।
২০১০ সালে লর্ডসে সেই কুখ্যাত স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার-সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ আর মোহাম্মদ আমির। তাদের মধ্যে আমির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন, কিন্তু বাকি দুজনের ভাগ্য আর খুলেনি।
জীবনের সবচেয়ে বড় ওই ভুল নিয়ে এখনও অনুশোচনা হয় আসিফের। কিন্তু তিনি এও মনে করেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যদি চেষ্টা করতো, তবে তার ক্যারিয়ারটা এভাবে শেষ হয়ে যেত না।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে আক্ষেপভরা কণ্ঠে আসিফ বলেন, ‘আমার আগেও অনেক খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছে। এমনকি আমার পরেও জড়িয়েছে। যারা আমার আগে ছিল তারা পিসিবির সঙ্গে কাজ করতে পেরেছে। আমার পরের অনেকে খেলছেও।’
সাবেক ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, তাকে বাঁচানোর চেষ্টাটাও করেনি পিসিবি। আসিফ বলেন, ‘সবাইকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ আমার মতোই বঞ্চিত। পিসিবি আমাকে বাঁচানোর চেষ্টাই করেনি। অথচ আমি এমন একজন বোলার ছিলাম, যাকে বিশ্বের সবাই আলাদা করে গোনায় ধরতো।’
আসিফ যোগ করেন, ‘যাই হোক, অতীত নিয়ে আর ভাবতে চাই না, এসব নিয়ে পড়ে থাকার মানুষ নই আমি। যা হয়েছে তা ইতিহাস। তবে ক্যারিয়ারে যতটুকুই খেলেছি, বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পেরেছিলাম।’
আসিফের এই কথাটা সত্য। ২৩ টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে ১০৬ উইকেট নেন এই পেসার। আইসিসি টেস্ট বোলার র্যাংকিংয়ে উঠে এসেছিলেন দুই নম্বরে। এখনও বিভিন্ন সাক্ষাতকারে তার প্রসঙ্গ তুলেন ব্যাটসম্যানরা। কেভিন পিটারসন, এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলার মতো বড় ব্যাটসম্যানরা অনেকবারই বলেছেন, তাদের খেলা সবচেয়ে কঠিন বোলার ছিলেন আসিফ।
এই বিষয়গুলো গর্বিত করে পাকিস্তানের সাবেক এই পেসারকে। তিনি বলেন, ‘এত বছর পর এখনও বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরা আমাকে মনে রেখেছেন। তারা আমাকে নিয়ে কথা বলেন। চিন্তা করুন, বিশ্ব ক্রিকেটে আমি কতটা প্রভাব ফেলেছিলাম। আমি এতে গর্ববোধ করি। কেপি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলারা আমার প্রশংসা করেন। এটা আমাকে আনন্দ দেয়।