পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: “জয় বাবা ভোলানাথ, জয় বাবা পুঠিয়া নাথ” এই শ্লোগানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে রাজশাহীর পুঠিয়ায় শিবমন্দিরে শিবশিলায় পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পণ করা হয়। এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শিবমন্দিরে শিবশিলায় গংঙ্গাজল অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুঠিয়া উপজেলা হিন্দু কল্যান ও সংস্কার সমিতি।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠানে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) এর সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ মনসুর রহমান, উপজেলা নিবাহী অফিসার এ, কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর, থানার অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শিব মন্দির জুড়ে দেখা যায়, আগত ভক্তরা একটি বাঁকা ভার দু’টি বড় ছিকা সম্বলিত দুই ঘটি গঙ্গাজল সাজিয়ে ক্ষেপা বাবা বোম, বোম, ধ্বনিতে মন্দিরে আসছেন। এরপর মন্দিরের চার পাশে সাতপাক ঘুরে শিবশিলায় পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন করেছেন। তবে বহিরাগত কিছু ভক্ত রোববার বাঘা উপজেলায় অবস্থিত আড়ানী বাজারে ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে সারারাত্রী নাম-কীর্তন করে সোমবার ভোরে নদী থেকে ঘট ভর্তি গঙ্গা জল নিয়ে শিব মন্দিরে এসে গঙ্গাজল অর্পন করেছেন।
উল্লেখ্য, ১২৩০ বঙ্গঃ থেকে ১২৩৭ বঙ্গঃ পর্যন্ত উপ-মহাদেশের দৃষ্টিনন্দন সস্বলিত ঐতিহাসিক শিব মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। আর মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারানী ভুবনমহন দেবী। যা এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিব মন্দির হিসাবে পরিচিত। আর ১৯৮৯ ইং সালে বাঘা উপজেলার আড়নীর পাগলা বাবা প্রথম শিবমন্দিরে নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পণের রীতি শুরু করেন। এরপর থেকে এখানে প্রতিবছর শ্রাবন মাসের শেষ সোমবার (বোম, বোম) অনুষ্ঠিত হয়।