পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য বান্ধব (ফেয়ার প্রাইজ) কর্মসূচীতে অনিয়মের অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরের জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। গত ২১ এপ্রিল এই অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নয়াপাড়া গ্রামের রেজাউল কার্ড নম্বর ১৪৩৫। তিনি থাকেন বিদেশে। তার স্ত্রী জুলিয়া বেগম জানান, আমার স্বামীর নামে কার্ড আছে। কিন্তু কোন সরকারী সুবিধা পাইনা। সেই চাউল কে উঠায় তা জানিনা। একই গ্রামের সাইদুর কার্ড নম্বর ১৪১৬। তিনি ঢাকায় থাকেন। তার মা সুফিয়া বেগম জানান, আমার ছেলে ঢাকায় থাকে। শুনেছি তার নামে একটি কার্ড আছে। কিন্তু কোন সরকারী সুবিধা পাইনা। সেই চাউল কে উঠায় তা জানিনা।
শিবপুরহাট গ্রামের চাঁনমিয়া কার্ড নম্বর ৭০১। তিনি জানান, আমার কার্ড মেম্বার নিয়ে নেয়। পরে বিষয়টি জানা জানি হলে ২ মাস আগে আমার কার্ড ফেরত দেয় মেম্বার।
বিহারীপাড়া গ্রামের কালাম কার্ড নম্বর ৯৪৪। তিনি জানান, আমি একজন ভ্যান চালক। আমার বাড়ি টিন দিয়ে তৈরি করা। আমি শুনেছি আমার নামে কার্ড হয়েছে। কিন্তু কোন দিন তার সুবিধা পাইনি। পরবর্তিতে আমার নামের স্থানে স্বচ্ছল দেখিয়ে কার্ড বাতিল করেছে।
নয়াপাড়া গ্রামের রুবেল জানান, আমার নামে ১৪১৯ নম্বর কার্ড আছে, আমি জানতাম না। যখন আমি জানতে পারি। তখন আমি কার্ডের চাউল নিতে গেলে বিভিন্ন তাল বাহানা দিয়ে ডিলার আমাকে ঘুরিয়ে দেয়।
রঘুরামপুর গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান এর স্ত্রী খোদেজা নামে ১০১২, ছেলে মিজানুর ৯৭৭ ও মেয়ে চায়না ১০৪৮ (তার বিয়ে হয়েছে পুঠিয়া সদরে)।
দিঘলকান্দি গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমসেদ আলীর নিজ নামে ১০০ নম্বর কার্ড, ছেলে সুজাউদ্দৗলা নামে ৭০ নম্বর কার্ড এবং তার স্ত্রী রেখা নামে ১০৫ নম্বর কার্ডে এই সুবিধা ভোগ করছে।
মাইপাড়া বাজারের ডিলার সোহরাব হোসেন জানান, রেজাউলের কার্ডের চাউল তার বৌ নিয়ে যায়। রুবেল এর কার্ড রফিক তুলে নিয়ে গিয়ে রুবেলকে দিত। আর সাইদুল এর বিষয়ে মতঐক্য আছে। তবে এলাকার মানুষ একজনের কার্ড অন্য জন নিয়ে আসলে আমরা চাউল দিয়ে দিই।
বানেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী সুলতান জানান, ২০১৬ সালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী সে সময় ফুড অফিস ও দলীয় কমিটি এবং দলীয় বিবেচনায় তালিকা করা হয়েছে। এখানে আমাদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের তেমন কোন কর্তৃত্ব ছিলো না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবোনা। বক্তব্য দিয়ে চাকুরী হারাতে পারবো না। তবে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামান জানান, অভিযোগটি আমার হাতে পৌছাইনি। সেটা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.