বগুড়ার শেরপুরে কমিউনিটি পুলিশিং এর মহাসমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের অবমূল্যায়নে ক্ষোভ প্রকাশ

0 ১,৬৯৪

Sherpur bogra Pic 05-08-16স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি আয়োজিত শেরপুর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের অবহেলা ও অবমূল্যায়ন করায় অনুষ্ঠান মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইভাবে অনুষ্ঠান বর্জন করেছে অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শেরপুর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান এর সভাপতিত্ব্ েঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর ধুনট এলাকার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এম খুরশীদ হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরুজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জানে আলম খোকা প্রমূখ।
জানা যায়, শেরপুর শহীদিয়া কামিল ¯œাতকোত্তর মাদ্রসা মাঠে শেরপুর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে মহসমাবেশে বিকেল ৪ টায় জঙ্ঘিবাদ,সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশে অনুষ্ঠান শুরু হয় । অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক আমন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। একে এক সব অতিথি আসলে তাদের মঞ্চে ডেকে নেয়া হয়। কিন্তু উপেক্ষিত থাকে কমান্ডারসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা। অপরদিকে একই অনুষ্ঠানে আয়োজকরা উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ২/১জনকে প্রাধান্য দিলেও অধিকাংশদের অবমূল্যায়ন করে। অনুষ্ঠান শুরু করে সকল অতিথিদের সন্মাননা প্রদান ও ক্রেস্ট বিতরণের পূর্বে জাতীয় সংগীত ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের স্ব-রচিত সঙ্গীত পরিবেশন করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তারপরে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে মঞ্চ মাইকে ঘোষণা এখন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওবায়দুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যেই উপস্থিত সকলের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আপনাদের কাছে আজও অবহেলিত, সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে আমাদের শত গ্লানি দুঃখ সহ্য করতে হয় । আজ এই বাংলাদেশ কার জন্য। হায় কি বলবো! একেই বলে প্রতিদান। তিনি আগামী দিনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সকল বিষয়ে সচেতন থেকে এ সকল অপমানের ব্যথা মনে করে সামনের দিনে সু-সংবাদ হিসেবে এগিয়ে চলতে বলেন । সেই সাথে জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবিও করেন । তার এই বক্তব্যের সাথে সাথে মঞ্চের সামনে উপস্থিত প্রায় ৫ হাজার লোকজন করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানান । অপরদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ২/১জনকে বক্তব্যের প্রাধান্য এবং আসনে বসার ব্যবস্থা করা হলেও অধিকাংশরা ছিল উপেক্ষিত ও অবহেলিত। এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার একজন কর্মকর্তা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি নিয়ে আয়োজক কমিটির কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে। তবে এটা করা উচিৎ হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.