বগুড়া প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে পিতা সিরাজুল ইসলাম খানের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারই ছেলে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। মেহেদী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (৩০নভেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিলকৃত মনোনয়নের তালিকা নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এদিন ১৬ জন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। শুধু তাই নয়, বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে এই নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী’র পিতা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দ্বাদশ নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন আদমদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালে সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী আব্দুল জলিলের হাত ধরে সিরাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে উপজেলা কমিটি হলে সভাপতির দায়িত্ব পান।
এক বছর পরে এই কমিটির পূর্নাঙ্গ তালিকা করেন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। এই পূর্নাঙ্গ কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। এর আগে তাকে কোনো কমিটিতে দেখা যায়নি। সর্বশেষ দ্বাদশ নির্বাচনে তার বাবা নৌকার প্রার্থী মনোনীত হলেও বগুড়া-৩ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান আল মেহেদী।
খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী ছাড়া আরও চারজন আওয়ামী লীগ নেতা আসনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অজয় কুমার সরকার, সহ সভাপতি এরশাদুল হক টুলু, আওয়ামী লীগের সমর্থক জামিলুর রশিদ তালুকদার।
বগুড়া-৩ আসনে মোট ১১৭ টি ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৯১১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৬ জন সবমিলিয়ে মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৭ জন তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে বগুড়ায় বাছাইয়ের দিন ধার্য করা হয় ৩ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। এর মধ্যে বগুড়ায় মনোয়নপত্র বাছাইয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।