শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি: আগেরকার দিনে গ্রাম-বাংলায় ঐহিত্যবাহি খেলা হিসেবে পরিচিত ছিল, হা-ডু-ডু, কানামাছি, গোল্লাছুট, লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন মনোমগ্ধুকর খেলা। গ্রামীন চিত্র বিনোদনে সাধারণ মানুষেরা মেতে উঠতো এধরণে খেলাধুলায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে এসব খেলা আর চোখে পড়েনা। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় গ্রাম-বাংলায় এসব খেলার কদর অনেকটাই বিলীনের পথে। তাইতো গ্রাম-বাংলার সেই পুরানো ঐতিহ্যবাহী খেলাকে ধরে রাখতে বগুড়ার শেরপুরের গাড়িদহ রাণীনগর গ্রামে হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করে গ্রামের কয়েকজন খেলাপ্রেমী যুবকেরা। এ খেলার ফাইনাল প্রতিযোগী গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। তাইতো পুরানোদিনে ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে এবং মনের খোরাক মেটাতে হাজার হাজার উৎসুক দর্শক ভীড় জমায় খেলার মাঠ অঙ্গনে।
উপজেলার রাণীনগর তারুণ্য ক্লবের আয়োজনে হা-ডু-ডু খেলার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দবির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাঃ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, খামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব, শেরপুর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এসএম ফেরদৌস, যুবলীগ নেতা আরিফ মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাড়ীদহ (পুর্ব) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম কিরণ, আবু হাসান, মো. শাহীন, আইয়ুব আলী সাজু, আসলাম হোসেন প্রমুখ।খেলায় বোংগা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ২-০ পয়েন্টে পারভবানীপুর দলকে পরাজিত করে চাম্পিয়ান হবার গৌরব অর্জন করে। খেলা পরিচালনা করেন ইউপি সদস্য আসাদুদৌলা বুলু, নবাব আলী ও আব্দুর রাজ্জাক।
শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ী দলের ম্যানেজার কামরুল ইসলামের নিকট প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি ষাড় গরু তুলে দেন। এছাড়া ম্যান অব দ্যা ম্যাচ বোংগা দলের অধিনায়ক টগরের হাতে ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয় খেলাটি হাজারও দর্শক মনোমগ্ধুকর পরিবেশে উপভোগ করেন।
Next Post