শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ট্রাকের বডিতে বক্স তৈরী করে অভিনব কায়দায় মাদক দ্রব্য পাচারের সময় পুলিশ প্রায় পৌনে ৪ মন (৭৫ প্যাকেট) গাঁজা সহ ২ জন আন্তঃজেলা মাদক চোরাকারবারী হেলপার হারুন ওরফে ফারুক হোসেন (২৫) ও ট্রাক চালক সোহাগ (৩০)। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বাীকারোক্তি মোতাবেক গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ আটককৃত ট্রাকের বডিতে তৈরী করা বক্স থেকে গাঁজাগুলো উদ্ধার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খান মোঃ এরফানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, এসআই মোঃ আরিফ সহ একদল পুলিশ একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ম ১১-৩৬৬৯) ও ঐ দুই মাদাক চোরা কারবারী কে আটক করে। ট্রাকটি আটকের পর পুলিশ দেখতে পায় ট্রাকটি খালি। ট্রাকের সাম্ভাব্য সকল জায়গা তল্লাশী করে কোন কিছু না পেয়ে হতাশ হয় পুলিশ। কিন্ত পুলিশের সোর্স নিশ্চিত করে ওই ট্রাকেই বিপুল পরিমান মাদক মজুদ আছে। বুধবার গভীর রাতে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা স্বীকার করে ঐ খালি ট্রাকের বডির পাটাতনের নীচে বিশেষ কায়দায় প্রায় ১ফুট উচ্চতা ও ট্রাকের বডির আয়তনের সমান একটি বক্সে বিপুল পরিমান গঁজা রয়েছে। পরে রাত আড়াইটার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাতন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে আটককৃতরা ট্রাকের বডির নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় লাগানো তিনটি নাট-বোল্ট খুলে দিলে পাটাতনের নীচ থেকে ১৫০ কেজি( প্রায় পৌণে ৪মন) যাহার মুল্য ১৫ লাখ টাকার গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটক কৃতরা জানায় তারা গাজীপুরের টঙ্গী হতে নাটোরে গাঁজাগুলো পৌছে দেয়ার জন্য যাচ্ছিল। এসময় পুলিশ ট্রাক চালক লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন ও হেলপার একই জেলার মৃত ওয়েদুর রহমানের ছেলে হারুন ওরফে ফারুক হোসেন কে গ্রেফতার করে থানায় আনে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১২ অক্টোবর মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেন।
Prev Post