শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের নলবাড়িয়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকা কলেজ ছাত্রীর অনশন পালনের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রেমিক মুঞ্জুরুল ইসলাম বাপ্পী(২৪)সহ পরিবারের সদস্যরা ওই ছাত্রীকে বাড়ীতে রেখেই শুক্রবার সকালে পালিয়ে যায় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নলবাড়িয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মকবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের অনার্স ৩বর্ষের ছাত্র মুঞ্জুরুল ইসলাম বাপ্পী তার নতুন প্রেমিকাকে আজ ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে বরযাত্রী নিয়ে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি করে। প্রেমিকের বিয়ের খবর জানতে পেরে বাপ্পীর প্রায় ৭ বছরের পুরানো প্রেমিকা ধুনট উপজেলার শাহদহ গ্রামের লিখন সরকারের মেয়ে কাজিপুরের মুনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের অনার্স পড়–য়া ছাত্রী নিরালা পারভীন রিতু গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবীতে বাপ্পীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। বিষয় জানাজানি ও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রেমিকা বাপ্পীসহ তার পরিবারের লোকজন রিতুকে বাড়ীতে রেখেই শুক্রবার সকালে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় মাতব্বররা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীনদলের নেতার কারসাজিতে ওই প্রেমিকা রিতুকে কৌশলে শেরপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে থানায় অবস্থানরত ওই প্রেমিকা রিতু’র সঙ্গে কথা বললে তিনি জানায় বাপ্পীর সাথে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সুবাধে বাপ্পী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে দৈহিক সম্পর্ক করে। তাছাড়া বাপ্পীর সাথে বিয়ে না হলে আত্মহত্যাও করবে বলে হুমকীও দেয় রিতু।
তবে এঘটনায় প্রেমিকা বাপ্পীর পরিবারের সদস্যদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান মোবাইল ফোনে প্রেমের ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।