বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিক দীপক সরকারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার ৪৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাংবাদিক ও সচেতনমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর পৌরশহরের গোসাইপাড়া কাচারী মসজিদ এলাকায় অস্থায়ী বাজারে গত ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি তুচ্ছ ঘটনায় একই এলাকার প্রভাবশালী ক্যাডার বাবলু সাহা বাঘা সাংবাদিকের কাকা বৃন্দাবনপাড়ার বলরাম সরকারকে মারপিট করে। এসময় শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক বর্তমান পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি দীপক কুমার সরকার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাসা থেকে শহরের দিকে যাওয়ার পথে সৃষ্ট ঘটনার কারণ জানতে চাইলে সন্ত্রাসী মাদকসেবী ক্যাডার বাঘা ও তার সহযোগী মনোরঞ্জন, নিখিল, সমীর, জয় মোহন্তসহ কয়েকজন সাংবাদিককের উপর চড়াও হয়ে বাঙ দিয়ে মারপিটের জন্য উদ্যত হয়ে লাঞ্ছিত করে। এসময় ওই সাংবাদিককে ‘‘সাংবাদিকগিরি ছুটাচ্ছি” বলে অশ্লিল ভাষায় গালি দেখে নেয়া সহ মেরে ফেলার হুমকী প্রদর্শন করে। এসময় সাংবাদিক দীপক সরকার নিজেকে বাঁচাতে তার অন্যান্য সাংবাদিক ও থানা পুলিশে খবর দিয়ে তারা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়। কিছু পরে ওইসব ক্যাডারের নেতৃত্বে আবারও সাংবাদিকের কাকা বলরাম ও তার ছেলেকে পুনরায় মারপিট করে। এর আগেও বৃন্দাবনপাড়াতে বেশ কয়েকবার একটি প্রভাবশালী চক্রের ইন্ধনে একই পাড়ার মামলাবাজ বলে খ্যাত গৌড় চন্দ্র শীল, দুলাল, মানিক মহন্ত, বৈদ্য রাজবংশী সহ কয়েকজন সাংবাদিক ও তার পিতাকেও দীর্ঘদিন ধরে মারপিট করার চেষ্টা ও অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজসহ সম্মানহানীর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে । এসব ঘটনায় সাংবাদিক পরিবার ও তার আত্মীয়স্বজনের স্বাভাবিক কাজকর্মে শহরে প্রবেশ করতে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিক দীপক সরকার তার সকল সাংবাদিক সমাজকে সাথে নিয়ে ওইদিনই চিহ্নিত কয়েকজনকে বিবাদী করে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক এসআই পুতুলকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার।
এদিকে সাংবাদিক দীপক সরকারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগের ৪৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক হওয়ায় সাংবাদিক ও সচেতনমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।