শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে বিরইল গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা আয়েশা বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দৈহিক মেলামেলা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে লম্পট জুয়েল শেখ। সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে অবশেষে সুষ্ঠ ন্যায় বিচারেরর আশায় বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের মৃত মোজাম উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর পরিত্যাক্তা হয়ে এক কন্যা সন্তান নিয়ে স্বামীর বসতবাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সেই সুযোগে একই গ্রামের আলেফ শেখের লম্পট ছেলে জুয়েল শেখ(২০) বিভিন্ন কৌশলে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক মেশামেশা চালিয়ে যায়। মন দেয়া নেয়ার সুসম্পর্ক গভীর হওয়ার সুবাধে লম্পট জুয়েল স্বামী পরিত্যাক্তা আয়েশার কাছ থেকে নতুন বাড়ী করার জন্য কৌশলে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে জুয়েল শেখ তাকে বিয়ে করবে না বলে নানা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসলে ওই মহিলা নিরুপায় হয়ে গত ৩০ জুন প্রথমে গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার চাইলে মাতব্বরদের করা শালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অস্বীকার করে লম্পট জুয়েল। এদিকে ওই জুয়েল ও তার পরিবার গ্রাম্য মাতব্বরদের গোপনে ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসে এবং ওই স্বামী পরিত্যাক্তাকে নানা ভয়ভীতি দিয়ে আসছে। পরে ওই মহিলা নিরুপায় হয়ে শেরপুর থানায় আইনের আশ্রয় নিলে প্রশাসন আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ওই স্বামী পরিত্যাক্তা আয়েশা বাদি হয়ে লম্পট জুয়েল শেখকে আসামী করে গত ১৬ আগস্ট বগুড়া জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত(২) এ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা সংশোধিত ধারায় মামলা ২১৮পি/২০১৭ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে স্বামী পরিত্যাক্তা আয়েশা বলেন, স্বামী হারানোর পর কন্যা সন্তান নিয়ে কোনমতে জীবনযাপন করে আসছিলাম। কিন্তু জুয়েল বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে প্রতারণা করেছে। বিচারের আশায় মামলা করলেও জুয়েল সহ তার পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নেয়াসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছি। তবে এখন বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে ভুক্তভোগী আয়েশা জানিয়েছেন।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.