বাংলাদেশি হিসেবে অলিম্পিকে লড়বেন পাবনার কৃতি সন্তান মাহফিজুর রহমান সাগর

0 ১,০০০

pআর কে আকাশ, পাবনা : শুক্রুবার (৫ আগস্ট) থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুরু হওয়া গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ‘লাল-সবুজ’ পতাকা হাতে দেশের হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লড়বেন পাবনার কৃতি সন্তান মাহফিজুর রহমান সাগর। গতবার লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন এ সাঁতারু। এখন তিনি ব্রাজিলে অবস্থান করছেন। শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে।
পাবনার কৃতি সন্তান মাহফিজুর রহমান সাগরের বাড়ী পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের দ্বীপচর গ্রামে। তার পিতা বাবা আজিজুর রহমান টিংকু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান টিংকুর হাত ধরেই তার আজ এতদূর আসা।
মুক্তিযোদ্ধা বাবা আজিজুর রহমানেরও স্বপ্ন ছিল ছেলে দেশের জন্য ভালো কিছু করবে। নিজেও ছিলেন কাবাডি খেলোয়াড়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি। সেই অপ্রাপ্তিগুলো থেকে সন্তানকে বড় খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলেছেন বাবা।
mail.google.comপাবনার ছেলে সাগর, সাঁতারু হয়ে ওঠার ইচ্ছাটা ছোটবেলা থেকেই। বছরখানেক পড়েছেন পাবনা জিলা স্কুলে। তারপরে ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্রীড়া ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। সেখান থেকেই সাঁতারের যাত্রা শুরু। ধীরে ধীরে আসতে থাকে সাফল্য।
২০০৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকতেই যোগ দেন জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায়। জিতেন দুটি সোনাসহ রুপা আর ব্রোঞ্জ মিলে ছয়টি পদক! বছর দুই পরে ২০০৫ সালে ২১তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় দেশের ‘সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু’ হিসেবে জিতেন স্বর্ণপদক।
তারপর ২০১০ এসএ গেমসে ২ রৌপ্য ও ১ ব্রোঞ্জ পদক জিতেন। ২০১১ সালে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় আটটি ইভেন্টের আটটিতেই সোনা জিতে সেরা সাঁতারুর মুকুট লাভ করেন। পরে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১২ ইভেন্টের সবকটিতেই স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ বয়সেই মোট ৪৮টি সোনা জিতেছেন এ সাঁতারু।
বিশ্বসেরা এই সাঁতারুর বর্তমানে পড়াশুনা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে, স্নাতক সম্মান শেষ বর্ষে। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলে।
সর্বশেষ অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সাগর বলেন, সবসময় ভালোবাসা ভালো লাগার জায়গা থেকে খেলি, ভালোবাসি বলেই দেশের হয়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। দেশের জন্য সর্বোচ্চ দিতে চাই। স্বর্ণজয় করতে চাই।
দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, অলিম্পিকে খেলা অনেক বড় স্বপ্ন। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটাও অনেক কিছু। কখনো ভাবিনি যে বাংলাদেশের হয়ে টানা দুইবার অলিম্পিকের মতো আসরে অংশগ্রহণ করতে পারব। এটা আমার জন্য খুবই গৌরবের ও আনন্দের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.